কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া থেকে: মালয়েশিয়া ছাড়লেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শুক্রবার সকালে লন্ডনগামী বিমানে চড়ে সপরিবারে বর্তমান ঠিকানার উদ্দেশ্যে রওনা করেন তিনি।
মালয়েশিয়া বিএনপির একাংশের সভাপতি শহীদ উল্লাহ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, স্থানীয় সময় সকাল ছয়টায় তারেক লন্ডনের পথে যাত্রা করেন।
স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন। তারেকের এক সময়কার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মিয়া নাসিরুদ্দিন অপুসহ স্থানীয়
বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কয়েকজন তারেককে বিদায় জানান বলেও ভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ব্যস্ত সময় কাটান তারেক। স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন
তিনি। কাল বিলম্ব না করে এখানে বিএনপির অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো মিটিয়ে ফেলতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন বলেও বৈঠক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সূত্র আরও জানায়, এখানে কোনো কমিটি চূড়ান্ত করার দায়িত্ব তিনি নিজে না নিয়ে নেতাদের ওপরই ছেড়ে গেছেন। তবে যোগ্য নেতৃত্ব বেছে নিতেও পরামর্শ
দিয়েছেন তিনি। তার আগের দিন বুধবার সন্ধ্যায় কুয়ালালামপুরের পুত্রা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে র্যাব বিলুপ্তির দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধন করেন
তারেক।
তারেক মালয়েশিয়া আসেন গত ২ জুন, সোমবার। এরপর তার দেখা হয় ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর সঙ্গে। দুই ভাই একসঙ্গে পর্যটন এলাকা লাঙ্কাভি’তে সময়ও কাটান।
এরপর জানা যায়, তারা মায়ের সঙ্গে দেখা করতে সপরিবারে সিঙ্গাপুরে গেছেন।
ভিন্ন সূত্র দাবি করে, শেষ মুহূর্তে তাদের মা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সিঙ্গাপুর সফর বাতিল হলে দুই ভাইও সিঙ্গাপুর আর যাননি।
খালেদা জিয়ার সিঙ্গাপুর সফর বাতিলের পেছনেও অসমর্থিত সূত্রে কয়েকটি কারণ পাওয়া যায়।
সূত্র জানায়, সাত বছর পর জিয়া পরিবারের পুনর্মিলনীর খবর জানাজানি হয়ে গেলে সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন খালেদা।
ভিন্ন সূত্র জানায়, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের বাংলাদেশ সফরের কারণে খালেদা নিজের সিঙ্গাপুর সফর বাতিল করেন। কারণ ভারতের নতুন
সরকারের সঙ্গে প্রথম থেকেই সযত্ন সম্পর্ক রাখতে চায় বিএনপি।
এদিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানের স্বামী এম মুজিবুর রহমান ৬ জুন শুক্রবার রাতে ইন্তেকাল করেন।
অপর সূত্র দাবি করে, শোকাতুর সেলিমার পাশে থাকতেই খালেদার সফর বাতিল হয়। কারণ সেলিমার সঙ্গে খালেদা জিয়ার সহচরের মতো সম্পর্কের কথা মোটামুটি সবারই জানা।
যে কারণটিই সত্যি হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত জিয়া পরিবারের এই মিলন সম্ভব হয়নি।
তবে তারেক মালয়েশিয়ায় যে কাজ নিয়ে এসেছেন, তা শেষ করেই গেছেন বলে এখানে তার ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি।
চিকিৎসা, ছোট ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ, গণস্বাক্ষর কর্মসূচি উদ্বোধন প্রভৃতি কাজ সফলভাবে শেষ করে গেছেন তিনি।
এছাড়া স্থানীয় বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল লাঘবেও তার এই সফর বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৪