ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়া ভ্রমণ

জাপানিজ এবং পর্তুগিজ ভিলেজ

মাহমুদ খায়রুল, কুয়ালালামপুর করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৪
জাপানিজ এবং পর্তুগিজ ভিলেজ

কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া: আপনি যদি মালয়েশিয়ায় অত্যন্ত কম সময়ের জন্য ভ্রমণ করতে চান তাহলে কুয়ালালামপুর শহরের বেশ নিকটবর্তী দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে পর্তুগিজ এবং জাপানিজ ভিলেজ দেখে আসতে পারেন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দুই হাজার আটশ ফুট উপরে ব্যস্ত শহর কুয়ালালামপুর থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে সেলাঙ্গর প্রদেশে বুকিত তিংগিতে অবস্থিত এ দর্শনীয় স্থানটি।


 
সাপের মতো আঁকাবাঁকা পথে পর্তুগিজ প্রাসাদের মতো গড়ে তোলা হয়েছে এ জায়গাটি। প্রতিদিন অনেক ভ্রমণপিপাসু মানুষের আনাগোনা এখানে। ছোট ছোট টিলা-পাহাড়ের মাঝখানে ঠাণ্ডা আবহাওয়ার এক অপূর্ব অনুভুতি। মাঝে মাঝে মনে হবে হয়তো ইউরোপের কোনো দেশে আছেন।

পর্তুগিজ এই রাজকেল্লার প্রবেশ পথেই রয়েছে বিশাল এক দরজা। কাঠের ব্রিজের উপর দিয়ে ঠকঠক শব্দে এগিয়ে যেতে হবে। এর নিচ দিয়ে বয়ে গেছে সুন্দর লেক যেখানে বিশালাকার রাজহাঁসকে সাঁতার কাটতে দেখা যাবে। বিকাল বেলা যখন সূর্যের আলো সেই পানিতে পড়ে, সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করার জন্য এককথায় অতুলনীয়।

প্রাসাদের প্রবেশদ্বারে দেখা মিলবে রাজকীয় ঘোড়ার। আর আপনাকে আমন্ত্রণ জানাবে সঙ্গীতশিল্পীরা। প্রাসাদের মতো দরজা দিয়ে প্রবেশ করে দেখতে পারবেন অপূর্ব পানির ফোয়ারা, বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট এবং হোটেল। পথগুলো করা হয়েছে পোড়ামাটির ইট দিয়ে। আর উপরে সারিতে সারিতে জ্বলছে এক রঙের বাতি। রেস্টুরেন্টগুলো সাজানো হয়েছে পুরান দিনের পর্তুগিজ বাড়িঘরের আদলে।

এই দুর্গের শেষ প্রান্তে রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। ওয়াচ টাওয়ার থেকে পুরো জায়গাটি এক নিমিষে দেখে নেওয়া যায়। আকাশ এবং পাহাড় যেন একসঙ্গে মিশে গিয়েছে। এর মাঝে ছোট ছোট বাড়িঘরগুলো সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়েছে।

দর্শকদের আমোদ-প্রমোদের জন্য এখানে অনুষ্ঠিত হয় অ্যাক্রোবেটিক এবং নাচের শো। ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় চায়ের কাপে চুমু দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনুষ্ঠান দেখার অনুভূতি দারুণ।

পর্তুগিজ ভিলেজ শেষ করে আরও কয়েকশ ফিট উপরে গড়ে তোলা হয়েছে জাপানিজ ভিলেজ। গহীন জঙ্গলের মাঝে গা ছিম ছিম একটা আবহাওয়া।

আঁকাবাঁকা পাথরের উঁচু উঁচু সিঁড়ি। দেখা মিলবে জাপানিজ কাঠের কুঁড়েঘর। সবুজে ঘেরা বাগানের মাঝে ছোট ছোট বাড়ি। চলার পথের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে লেক এবং দেখা মিলবে রঙ বেরঙের মাছের। অসাধারণ দক্ষতায় গড়ে তোলা হয়েছে এই দর্শনীয় স্থানটি। জাপানিজ হারবাল চা পান করে প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নিচ্ছে সবাই। শহরের ক্লান্তি ভুলে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটি কাটাতে আসেন এখানে। সবুজের মাঝে সময় কাটানোর আকাঙ্ক্ষাটা বেশ ভালোমতই পূরণ হয় সবার।

কিভাবে যাবেন
কুয়ালালামপুর থেকে ট্যাক্সি ভাড়া করে যেতে পারেন বুকিত তিংগি। খরচ পড়বে ১৫০-২০০ রিংগিত।   উঁচু-নিচু রাস্তা বলে এখানে ট্যাক্সি অথবা প্রাইভেটকার নিয়ে যাওয়াটাই ভালো।

খাওয়া-দাওয়ার খরচ
পর্যটকদের স্থান বলে এখানে খরচ কিছুটা বেশি। একবেলা খাবারের জন্য আপনাকে গুনতে হবে প্রায় ৫০ রিংগিত।
তাই দেরি না করে আজই পরিবার অথবা বন্ধুবান্ধবসহ বুকিত তিংগি ঘুরে আসার পরিকল্পনাটি সেরে ফেলুন। সাথে ক্যামেরা নিতে অবশই ভুলবেন না।

বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মালয়েশিয়া এর সর্বশেষ