বন্যা কবলিত এলাকা কেলান্তান থেকে ফিরে: মালয়েশিয়ার ইতিহাসে এতো বড় বন্যা আর কখনও হয়নি। অভাব কি জিনিস এতো দিন হয়তো তারা টের পেতো না।
এদিকে বর্তমানে বন্যার পানি চলে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে তাদের নানা রকম রোগও। পাহাড়ি এলাকা। বিশুদ্ধ পানি পাওয়া বেশ কষ্টকর। এরইমধ্যে, নতুন করে ঘর তুলতে শুরু করেছেন তারা। হঠাৎ করে সর্বনাশা বন্যা সব কিছু কেড়ে নেবে এমনটা তারা কিছুতেই ভাবতে পারেননি। তারপরও প্রাকতিক দুর্যোগের ওপর কারও হাত নেই এইটা তারা মনে করেন।
এবারের বন্যায় মালয়েশিয়া সরকারের অনেকটা ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি থেকে উঠতে তাদের কয়েক বছর লেগে যাবে বলে সরকারি সূত্র বলছে। বন্যা কবলিত হয়েছে দেশটির প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মালয়েশিয়ানরা এখনও বাঁচার স্বপ্ন দেখে। ত্রাণ তৎপরতার কোনো সমস্যা নেই। কারণ এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশিরা। তারা এতো দিন মনে করতো বাংলাদেশিরা শুধু তাদের দেশে কাজ করতে আসে। কিছু কিছু মালয়েশিয়ানদের কাছে বাংলাদেশিরা ছিল উপহাসের পাত্র। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশিরা তাদের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশিরা এখন মালয়েশিয়ানদের কাছে সবার আগে এগিয়ে এসেছে।
বিশেষ করে বাংলাদেশ কমিউনিটি মালয়েশিয়ানদের পাশে এগিয়ে আসায় মালয়েশিয়ার মিডিয়াতে একটা ইতিবাচক সাড়া পড়েছে।
বাংলাদেশের ত্রাণ সামগ্রী হাতে পেয়ে মালয়েশিয়ার এক বৃদ্ধা বাংলাদেশিদের ‘কায়া’ বলে উল্লেখ করেন। মালয়েশিয়ায় ‘কায়া’ শব্দের অর্থ ধনী। বাংলাদেশিরা এখন ধনী হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এই বৃদ্ধা তাদের নিজস্ব ভাষায় আরও বলেন- বাংলা ওরাং কে। ওরাং অর্থ মানুষ। মানে বাংলাদেশের মানুষ এখন ধনী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৫