বন্যা কবলিত কেলান্তান থেকে ফিরে: স্মরণকালের সবচেয়ে বড় বন্যা দেখল মালয়েশিয়া। গত ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়বাহ এ বন্যায় দেশটির আরো কিছু অঞ্চলের সঙ্গে সর্বস্ব হারিয়েছে পাহাড় ঘেরা কেলান্তানও।
সরেজমিনে দেখা যায়, গুয়ামচা, কোটা বারু, কাম্পুং পেরিয়া, বন্দর কয়লা, কেরাং পালো রাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বেশি। বৃষ্টির পানি কমতে শুরু করায় কেলান্তানে দেখা দিচ্ছে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব। ধুলা-বালি,কাদা আর আবর্জনায় রাস্তাঘাট চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
মালয়েশিয়ার বিভিন্ন সরকারি, বেসরকাররি সংস্থা কেলান্তানবাসীর জন্য এগিয়ে এসেছে। হেলিকপ্টারে ত্রাণ বিতরণ করেছে সরকার।
গত ৬ জুন (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ কমিউনিটির উদ্যোগে বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ দিতে ছুটে যান এক ঝাঁক স্বেচ্ছাসেবক।
ত্রাণ বিতরণকালে দেখা যায়, কেলান্তানের মানুষ যেন বোবা হয়ে গেছে। নির্বাক তাকিয়ে আছে বাংলাদেশিদের দিকে।
বন্যার সময় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া আমিনা বিনতে জোহা (৫০) বাংলানিউজকে বলেন, আমার মনে হয়েছে, কেয়ামত চলে এসেছে। ছোট ছোট পাহাড়গুলো পানিতে ডুবে যেতে দেখে মনে হলো, আজ বুঝি আর বাঁচার সুযোগ নেই। পানি বেশি দিন টেকেনি বলেই রক্ষা।
আর এম মালয়েশিয়ান হাজরা বিনতে আমিরও বেশ প্রশংসা করেন বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০,২০১৫