ঢাকা: মালয়েশিয় এসডিএন ও বিএইচডি কোম্পানির অধীনে বিজনেস রেসিডেন্স ভিসা নিলেও নাগরিকত্ব পাওয়া বেশ কঠিন। বরং আন্তর্জাতিক কোম্পানির অধীনে বিজনেস রেসিডেন্স ভিসা করলে পাঁচ বছর পরে মালয়েশিয়ার নাগরিকত্ব (পিআর) পাওয়া বেশ সহজ হয়।
এ ক্ষেত্রে বড় সুবিধা হল কোনো মালয় নাগরিকের সুপারিশ প্রয়োজন হয় না। এমনকি অন্য কোনো সংস্থা থেকেও কোনো প্রত্যয়নপত্র (রিকমন্ডেশন লেটার) প্রয়োজন হয় না। ব্যবসায়ী ভিসা নিলে মালয়েশিয়া থেকে পৃথিবীর ৭৩টি দেশে মাত্র তিন শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে ব্যবসা করা সম্ভব।
তাহলে আর দেরি না করে নিজের ব্যবসার পরিকল্পনা করে ফেলুন। আর শিক্ষাগত যোগ্যতার সর্বশেষ সনদপত্র নিয়ে তৈরি হন মালয়েশিয়ায় পাড়ি দিতে। তবে শিক্ষাগত যোগ্যতা অন্তত স্নাতক পাস হতে হবে। এ মাল্টিপল এমপ্লয়মেন্ট পাসের মাধ্যমে দেশে আসতে পারবেন যখন খুশি তখন।
দুই বছর পর আবারও ভিসা নবায়ণ করে নিতে হবে। পাঁচ বছর পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যাবে।
আন্তর্জাতিক কোম্পানির অধীনে ভিসা থাকলে বিজনেস রেসিডেন্স ভিসা নিতে মালয় নাগরিককে অংশীদার বানানোর প্রয়োজন হয়না। আবার পিআর এর আবেদনের জন্য দু’জন মালয় নাগরিকের সুপারিশও প্রয়োজন হবে না।
আন্তর্জাতিক কোম্পানির অধীনে বিজনেস রেসিডেন্স ভিসা পেতে পূর্ণ জীবন বৃত্তান্ত ও বিজনেস প্রোফাইল তৈরি করে নিতে হবে। পাসপোর্টের ফটোকপি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, ব্যাংকের বিবৃতি, সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের চারটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি আর স্থানীয় কমিশনার বা চেয়ারম্যানের কাছ থেকে চারিত্রিক সনদপত্র।
এর মধ্যেই ব্যবসার পরিকল্পনাটি প্রস্তাবনা আকারে তৈরি করে নিতে হবে।
মালয়েশিয়ায় নাগরিকত্ব পেতে এবং বিজনেস রেসিডেন্স ভিসা পেতে কি কি করতে হবে সে বিষয়ে জানতে www.wwbmc.com এ ওয়েবসাইটে লগইন করুন অথবা [email protected] এবং [email protected] মেইলে প্রশ্ন করে জেনে নিতে পারেন বিস্তারিত।
এছাড়া +60168123154 মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। ফেসবুকে Advocate Raju Ahmed এবং স্কাইপ আইডি Advocate Raju Ahmed PhDতেও যোগাযোগ করতে পারেন।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান পরামর্শক অ্যাডভোকেট রাজু আহমেদ (পিএইচডি) গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের নাগরিকদের বিজনেস রেসিডেন্স ভিসা নিয়ে কাজ করছেন মালয়েশিয়ায়। তার হাত ধরেই অনেকে নিয়েছেন মালয়েশিয়ার নাগরিকত্ব।
অ্যাডভোকেট রাজু আহমেদ বলেন, সব কাগজপত্র ঠিক থাকলে ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যেই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। কাগজপত্র তৈরি হয়ে গেলে কনসালটেন্সি ফার্মের মাধ্যমে প্রার্থীকে ডেকে নেয় মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন অফিস।
এরপর মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন অফিসে গিয়ে ভিসা নিতে হয় প্রার্থীকে। মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন অফিস থেকে এক ঘণ্টার মধ্যেই ভিসা হাতে দিয়ে দেয় বলে জানান, রাজু আহমেদ।
ড. রাজু বলেন, মিথ্যার আশ্রয় না নিয়ে সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কাগজপত্র দাখিল করলে কোনো প্রার্থীর আবেদনের ফাইল প্রত্যাখ্যাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এক্ষেত্রে সততা বড় বিষয়।
তিনি বলেন, ভালো কনসালটেন্সি ফার্ম মূলত মালয়েশিয়ার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে অনুমোদন নিয়ে বাংলাদেশি প্রার্থীদের রেসিডেন্স অনুমোদন সেবা দেওয়ার কাজ করে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৫