কুয়ালালামপুর থেকে: স্টুডেন্ট ভিসায় কাজ করতে এসে এখন শ্রীঘরে রয়েছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আব্দুর রহিম (ছদ্মনাম)। গত ২৩ মার্চ সানওয়ে পিরামিড শপিং মলের একটি কম্পিউটার দোকানে কাজ করা অবস্থায় আটক হন টিএমসি কলেজের এই শিক্ষার্থী।
রহিমের সহপাঠী কামাল বাংলানিউজকে বলেন, গত বছরের জুলাই মাসে মালয়েশিয়া আসেন রহিম।
পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করাই ছিলো তার লক্ষ্য। কিন্তু মালয়েশিয়া আসার পর ভুল ভাঙ্গে রহিমের। এজেন্টের প্রতিশ্রুতি যে ভুল তা বুঝতে পারে। জানতে পারে, শিক্ষার্থীদের পার্ট টাইম কাজের সুযোগ নেই মালয়েশিয়ায়। এখানে পার্ট টাইম কাজ অবৈধ।
পরিবারকে বড় আর্থিক ঋণের মধ্যে রেখে এসেছেন রহিম। তাই বৈধ-অবৈধের কথা না ভেবে চাকরির খোঁজে ধরনা দিতে থাকেন বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে। অবশেষে গত ১৭ মার্চ কুয়ালালামপুরের সানওয়ে পিরামিড মার্কেটে একটি কম্পিউটার দোকানে কাজ মেলে তার।
কিন্তু মাত্র ৬ দিনের মাথায় ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে ধরা পড়েন রহিম। গত ১৫ দিন ধরে কাজাংয়ের সেমিনিয়া ডিটেনশন সেন্টারে বন্দি রয়েছেন তিনি।
বাংলানিউজকে কামাল বলেন, এখন রহিম শুধু দেশে ফিরতে চাচ্ছে। সে বলছে এদেশে আর থাকার ইচ্ছে নেই। যেভাবেই হোক, তাকে যেন মুক্ত করে দেশে পাঠানো হয়।
কিন্তু রহিমকে রক্ষার কোনো উদ্যেগ নেই কলেজ কর্তৃপক্ষের। সহপাঠীদের চাপে অবশেষে ডিটেনসন সেন্টারে রহিমের তথ্য দেয় টিএমসি কলেজ। তবে ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও কোন অগ্রগতি নেই রহিমের মুক্তির।
কামাল বলেন, রহিমের পরিবার বিষয়টি এখনো জানে না। জানলে তারা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৫
এমএন/জেডএম