কুয়ালালামপুর: মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ ফেলে দিলেন জুনায়েদ। সঙ্গে সঙ্গে করতালিতে ফেটে পড়ে বুকিত বিনতাংয়ের বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট আযনূরায় খেলা দেখতে আসা দর্শকরা।
৩৫ রানের ওই লাইফের (ক্রিকেটীয় ভাষা) পর হাত খুলে মুশফিকের। হাততালিতে টেলিভিশন সেটের সামনেই দলের জন্য প্রেরণা যোগান প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
কাজের পেছনে ছুটে চলা এসব প্রবাসীর বাসায় টেলিভিশনের ব্যবস্থা নেই। আবার ইন্টারনেট ছাড়া এখানে টিভিতে নেই দক্ষিণ এশিয়ার চ্যানেলগুলো দেখার সুযোগ। রেস্টুরেন্টগুলোতে খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকেই চলে খেলা দেখা।
মালয়েশিয়ার সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা বুকিত বিনতাংয়ে বাংলাদেশিদের অবস্থান সংখ্যার বিচারে বড়।
তবে এখানে অবস্থানরত মালয় বা চায়নিজদের ক্রিকেটে আগ্রহ না থাকায়, এ খেলা নিয়ে উৎসাহ বাংলাদেশিদেরই বেশি। অবশ্য পাকিস্তানি রেস্টুরেন্টগুলোতেও সমর্থকদের ভিড় বেশ।
প্রবাসী এসব টাইগার সমর্থকদের দেশের ক্রিকেটের প্রতি মায়া অনেক। দলের কোনো সমালোচনা এখানে গ্রহণযোগ্য নয়।
মোমিনুল (টাইগার ক্রিকেটার) লম্বায় কিছুটা খর্বাকৃতির বলাতে, একজন বেশ কঠোর ভাষায় জানালেন, টেস্টে সবচেয়ে দীর্ঘতম ইনিংসটি তার।
কুয়ালালামপুরে এখন রাত সাড়ে সাতটা (৪০ ওভারের সময়)। যারা এখানে খেলা দেখছেন তাদের মধ্যে একটি অংশ কাজ থেকে ফিরেছেন, আবার অনেক কাজে যাচ্ছেন।
অনেকেই এখন ভাত বা রুটি খেয়ে নিচ্ছেন, আবার অনেকেই চায়ের গ্লাস সামনে নিয়ে গিলছেন খেলা। খেলায় মগ্ন অনেকের চা হয়ে যাচ্ছে ঠাণ্ডা।
ক্রিকেট পাগল বাঙালি আজ বুকিত বিনতাংয়ে প্রহর গুণছেন পাকিস্তান বধের। ১৬ বছরের ইতিহাসকে নতুন রুপ দিতে।
বাংলাদেশসময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৫
এমএন/জেডএস