ঢাকা: মালয়েশিয়ায় গত ১ এপ্রিল থেকে আরোপিত ভোক্তা কর (পণ্য ও পরিসেবা কর- জিএসটি) বাতিলের দাবি জানিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ। তিনি বলেছেন, ভোক্তা কর একদম বাতিল করে ফেলা উচিত।
শনিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানী কুয়ালালামপুরে বিসারা নেগারাওয়ান অনুষ্ঠানে সংবাদকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. মাহাথির এসব কথা বলেন।
রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও আর্থিক ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে বিক্রয় কর ও পরিসেবা করের (এসএসটি) পরিবর্তে গত ১ এপ্রিল ছয় শতাংশ ভোক্তা কর আরোপ করে মালয়েশিয়ান সরকার।
এ বিষয়ে মাহাথির বলেন, আমার মনে হয়, ভোক্তা কর একদম বাতিল করে দেওয়াই উচিত। রাজস্ব আয়ে আগের কর ব্যবস্থাপনাই যথেষ্ট ছিল।
তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের সমালোচনা করে বলেন, যে পদ্ধতি আপনার প্রশাসনের লোকজনই বোঝে না, সে পদ্ধতি চালু করার অর্থ কী?
ড. মাহাথির প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের প্রশাসন ও তার পরিবারের অতিরিক্ত অর্থখরচারও কড়া সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, কেউ কি আমার সন্তানের বিয়ের কথা মনে করতে পারেন? কেউ না। কারণ, আমি কিপটে লোক, আমার অতো খরচের অর্থ নেই। কিন্তু যখন তার (নাজিব রাজাক) মেয়ে বিয়ে করলেন, তখন এই বিয়ে যেন হয়ে গেল শতাব্দীর সেরা!
মাহাথির প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন, কাজাখস্তানে তার মেয়ের বিয়েতে অন্তত ৩০০ জনকে উড়োজাহাজে উড়িয়ে নিয়ে গেছেন তিনি। এ ধরনের দৃষ্টান্ত কাউকে নেতা বানাতে পারে না।
নাজিব রাজাকের সরকারের এ কর আরোপের পরিকল্পনায় গত বছর থেকেই প্রতিবাদ করে আসছে বিরোধীরা।
সরকারের দাবি, আরোপিত এই পণ্য ও সেবা কর (জিএসটি) রাজস্ব আয় বাড়াতে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের মতে, চাল, চিনি ও রান্নার তেলের মতো প্রধান খাদ্যপণ্যের পাশাপাশি কিছু ওষুধের ক্ষেত্রে এই কর প্রযোজ্য হচ্ছে না বিধায় এ নিয়ে ভোক্তাদের দুঃশ্চিন্তায় ভোগার তো কোনো কারণ নেই-ই, উপরুন্ত দেশের আয় বাড়বে বলে সবার খুশিই হওয়া উচিত।
তার মতে, এই কর আরোপের ফলে প্রতিবছর অতিরিক্ত ২২ বিলিয়ন রিঙ্গিত (৬ বিলিয়ন ডলার) রাজস্ব যোগ হবে। একইসঙ্গে আর্থিক ঘাটতি চলতি বছরই কমে জিডিপি দাঁড়াবে ৩ দশমিক ২ শতাংশে।
কিন্তু বিরোধীদলগুলোর মতে, অর্থনীতিতে নিজেদের অব্যবস্থাপনা ঢাকতে জনগণের ওপর এই কর আরোপ করেছে সরকার। এখন সরকারের ব্যর্থতার মাশুল গুনতে হবে জনগণকে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৫
এইচএ/