মালয়েশিয়া: সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া আসার পেছনে সরকারের ধীরগতির জিটুজি প্রক্রিয়াকে দুষলেন সিরাজগঞ্জের সংসদ সদস্য আবদুল মজিদ মন্ডল।
রোববার (২৪ মে) মালয়েশিয়ার সাগর তীরের প্রদেশ পেনাংয়ে বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ দোষারোপ করেন।
জিটুজি প্রক্রিয়াকে সরকারের ধীরে চলো নীতি বলে সমালোচনা করে তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার বিশাল শ্রমবাজারে বাংলাদেশি শ্রমিকের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও এই জিটুজি প্রক্রিয়ায় একরকম আটকে রয়েছে উদীয়মান অর্থনৈতিক দেশটিতে আমাদের শ্রমিক আসা।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের জন্য শ্রমবাজার উন্মুক্ত হলে আজ সমুদ্রপথকে বেছে নিতো না মানুষ।
তাই জিটুজি’র পাশাপাশি বেসরকারি খাতও খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এই সংসদ সদস্য।
অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনের লেবার কাউন্সিলর সায়েদুর রহমান বলেন, খুব শিগগির বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আনার ব্যাপারে ইতিবাচক খবর আসবে।
তবে, মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে যারা আছেন তাদের যতদ্রুত সম্ভব দেশে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেন সায়েদুর রহমান।
২৫ নভেম্বরের মধ্যে সবাইকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) বানানোর আহ্বান জানিয়ে সায়েদুর রহমান বলেন, এই সময়ের মধ্যে ডিজিটাল পাসপোর্ট তৈরি না করলে আগের পাসপোর্ট কোনো কাজে আসবে না।
শ্রমিকদের সহযোগিতায় বর্তমান হাইকমিশনের নানা উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রতিবছর যার যার কর্মস্থল থেকে অভিজ্ঞতার সনদ নেয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। এসময় সাধারণ শ্রমিকদের কাছ থেকে আসা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেন এই কর্মকর্তা।
হাইকমিশনের প্রথম সচিব সাহিদা সুলতানা তার বক্তব্যে কাউকে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া না আসার পরামর্শ দেন। কুয়ালালামপুরে ১১৬ রিঙ্গিত ও এর বাইরে ১৭৬ রিঙ্গিতের মাধ্যমে ডিজিটাল পাসপোর্ট করা যাবে উল্লেখ করে সবাইকে যতদ্রুত সম্ভব এমআরপি বানানোর আহ্বান জানান তিনিও।
সাহিদা সুলতানা বলেন, ডিজিটাল পাসপোর্ট করতে দেড় মাস সময়ের প্রয়োজন। তাই আগে থেকেই আপনারা হাতে লেখা পাসপোর্টটি জমা দিয়ে দিন।
আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- পেনাং প্রদেশের শাইখ ইসমাইল, হাইকমিশনের কর্মকর্তা এয়ার কমান্ডার আরিফ আহমেদ ও কুয়ালালামপুর থেকে আসা মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৪ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৫
এইচএ/