ঢাকা: ‘মালয়েশিয়া স্টাডি সেন্টার: উচ্চ শিক্ষার নামে দেদারছে মানবপাচার’ শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে মালয়েশিয়ার কোয়েস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি পেরাক। শিক্ষার্থীদের পার্ট টাইম চাকরি প্রতারণার সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার হাসনুল কুসাইরি নরদিন (Hasnul Kushairi Nordin) প্রেরিত বার্তায় বলা হয়, পেরাক স্টেট গর্ভমেন্ট ইন মালয়েশিয়ার অনুমতি প্রাপ্ত একটি বিশ্ববিদ্যালয়|
কর্তৃপক্ষের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা রয়েছে এবং মালয়েশিয়ার উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অ্যাক্ট ৫৫৫ এর অধীনে ব্লেয়ার এডুকেশন সার্ভিসেস এসডিএন. বিএইচডি এর পরিচালনাধীন একটি প্রতিষ্ঠান।
বিশ্ববিদ্যালয়টি তাদের আর্ন্তজাতিক ছাত্রদের কোন ধরনের চাকরি বা পার্ট টাইম চাকরির অফার করে না বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। এবং এই ধরনের কোন প্রলোভন বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে ডেপুটি ডাইরেক্টর আনান্থ লাচুমানান দেখাননি বলেও দাবি কর্তৃপক্ষের।
প্রতিবেদকের বক্তব্য: প্রকাশিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া স্টাডি সেন্টারের শিক্ষার্থী পাচারের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার আরো অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের মতো আনান্থ লাচুমানান এবং কোয়েস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে ব্যাবহার করে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া স্টাডি সেন্টারের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রহিম খান মুকুল মানবপাচার করছেন বলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানানো হয়।
বাংলাদেশ মালয়েশিয়া স্টাডি সেন্টারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতিবেদনটির বিষয়ে মুকুলের কোন বক্তব্য না থাকলেও কোয়েস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি নিজেদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নিচ্ছেন স্বপ্রণোদিত হয়েই।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০১৫
এমএন/জেডএম