মালয়েশিয়া থেকে: মালয়েশিয়ায় আরও শতাধিক গণকবরের সন্ধান পেয়েছে স্থানীয় পুলিশ। কবরগুলি পাচার হওয়া মানুষের।
মালয়েশিয়া পুলিশের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড বর্ডার কেদা, পেরাক এবং কেলানতানে এ ধরনের ট্রানজিট ক্যাম্প ও গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (১২ জুন) দেশটির বহুল প্রচারিত দৈনিক সানের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সম্প্রতি পার্লিস বর্ডারে এ ধরনের ক্যাম্প ও কবরের সন্ধান পাওয়ার পর এসব সত্য সামনে আসতে শুরু করে।
গত সপ্তাহে এক অভিযানে এ ধরনের আরও গণকবরের সন্ধান মেলে। বুকিত গেন্টিং পেরাহ ও বুকিত ওয়াং বার্মায় ২৮টি ক্যাম্পে এ ধরনের ১৩৯টি কবরের সন্ধান পাওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
সূত্র বলছে, পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরেই সব মানবপাচারের ক্যাম্প ও কবর সেখানে রয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের ধারণা, পাচার হওয়া এসব মানুষ মায়ানমার ও বাংলাদেশের। তারা পাচার হয়েছে এক বছরেরও বেশি সময় আগে। থাইল্যান্ডের মধ্য দিয়ে ঢুকে মালয়েশিয়া সীমানায় এসব ক্যাম্পে রাখা হয় তাদের। আর পাচারকারীরা কিনে নেয় দক্ষিণ থাইল্যান্ড থেকে।
এদিকে পুলিশের ফরেনসিক বিভাগ ও সংশ্লিষ্টদের জন্য এ উদ্ধার কাজ ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে বলেও জানানো হচ্ছে। গত মাসে এ ধরনের একটি অভিযানে পুলিশের একজন সদস্য বৈরী আবহাওয়া ও পরিবেশে কাজ করে অসুস্থও হয়ে পড়েন। ওয়াং কেলিয়ানে এ ধরনের একটি অভিযানে পানি ছাড়া কোনো কোনো সময় আর কিছুই পাওয়া যায় না।
সূত্র জানায়, এসব জঙ্গলে মশা ও বিষাক্ত জীবাণুর উপদ্রব রয়েছে। শত মিটার ওপর থেকে নিচে পড়ে যাওয়া ঠেকাতে একজনকে আরেকজনের শরীরের সঙ্গে বেঁধে রাখতে হয়।
পুলিশ জানায়, বন্দিদের খাঁচায় রাখা হয়েছিলো, সেখান থেকেই তাদের পরিবারের সঙ্গে মুক্তিপণের বিষয়ে দরদাম করা হয়। মুক্তিপণ না পেলে মেরে ফেলা হয় নির্যাতন করে।
জানা যায়, এদের বেশিরভাগই অনাহার, রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যায়। বাকিরা মারা যায় গুলি খেয়ে অথবা ছুরির আঘাতে অথবা ভারি কিছুর আঘাতে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৩ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৫
এমএন/এসকেএস/এএ