কুয়ালালামপুর (মালয়েশিয়া): মালয়েশিয়ার সানওয়ে এলাকার বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট আলিফ-লাম-মিমে এই রমজানে সুস্বাদু ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এখানে পাওয়া যাচ্ছে ঢাকার বিখ্যাত শাহী হালিমও।
এর সঙ্গে জিলাপি, পেঁয়াজু, বুন্দিয়া, বেগুনি, ছোলা, সিঙারা তো আছেই।
কুয়ালালামপুর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে সানওয়ে পিরামিড শপিংমলের কাছের হোটেল সান-ইন ঘেঁষে গড়ে উঠেছে এই জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট আলিফ-লাম-মিম। সানওয়ে এলাকার সব ব্যবসায়ী, চাকুরিজীবী এবং বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বাংলাদেশি খাবারের জন্য অন্যতম পছন্দ এই রেস্টুরেন্টটি।
আলিফ-লাম-মিম রেস্টুরেন্টে গিয়ে দেখা গেল, বাংলাদেশিদের পাশাপাশিও অন্য দেশের মানুষদেরও ভিড়। আর রমজানের ইফতারের সময় ভিড়টা একটু যেন বেশিই দেখা গেল। কর্মচারীরা বিনয়ের সঙ্গে বললেন, ভাই! বেগুনি আর পেঁয়াজুটা বেশি করে নেন। পরে আর পাবেন না কিন্তু। তার কথায় প্রথমে গুরুত্ব দেইনি আমরা। কিন্তু পরে দেখি, ঠিকই বেগুনি আর পেঁয়াজু নেই!
দোকানের মালিক মুন্সীগঞ্জের ছেলে মোহাম্মাদ মনিরুল। তার ব্যস্ততা দেখেও হতবাক। খাবারের টেবিল থেকে দৌড়ে যাচ্ছেন রান্নাঘরে তদারকি করতে। সেখান থেকে আবার ক্যাশ কাউন্টারে। আবার সেখান থেকে সময় দিচ্ছেন তার ফুটফুটে দুটি সন্তানকে।
মুচকি হাসিতে বললেন, দুঃখিত! শাহী হালিম আর দিতে পারলাম না।
জবাবে বললাম, ভাই, যা দিয়েছেন, তাও কোনো অংশে কম না।
ইফতারের পর পরই দেখলাম, অনেক শিক্ষার্থীর ভিড়। মোহাম্মাদ মনিরুলের শ্যালক মোহাম্মাদ হামিদুর জানালেন, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের কাছেই বেশি প্রিয় আমরা। রেস্টুরেন্ট সাত দিন ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে।
রমজানের সময় ছাড়া এখানে দেশিয় পরিবেশে সব ধরনের, মুরগি, গরুর মাংস, বিভিন্ন ধরনের ভর্তা পাওয়া যায়। স্থানীয়দের জন্যও থাকে মালয় স্টাইলের খাবার। সবার সুবিধার জন্য বাসায় খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও আছে।
খাবারের মান এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা আমরা সব সময় মাথায় রেখে কাজ করি। ভালো খাবার খাওয়ানোর মধ্যেও একটা বরকত আছে!
তিনি বলেন, রাত যতই বাড়তে থাকে, রেস্টুরেন্টে কাস্টমারদের ভিড় ততই যেন বাড়তে থাকে।
অনেক দিন পর হালিমের স্বাদে মনটা খুশিতে ভরে গেল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৫
এবি/