কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া থেকে: সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের ক্যাম্পে শুক্রবার (১৭ জুলাই) উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ইদুল ফিতর। উদ্ধার হয়ে এসব ক্যাম্পে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছেন পবিত্র ঈদ।
অভিবাসন বিষয়ক বেসরকারি সংস্থা ইয়াইয়াসান জিউতানিওই অভিবাসী ক্যাম্পগুলোতে পবিত্র ঈদ উদযাপনে সহযোগিতা করে। ঈদের নামায আদায়ের পর সংস্থাটির উদ্যোগে ক্যাম্পগুলোতে সেমাই পরিবেশন করা হয় এবং বিনোদনের জন্য বিভিন্ন আয়োজন করা হয়।
ইয়াইয়াসান জিউতানিওই’র আন্তর্জাতিক পরিচালক লিলিআন্নে ফান অভিবাসী ক্যাম্পে ঈদ উদযাপনের কিছু ছবি বাংলানিউজে পাঠিয়েছেন।
ছবিতে একজন বাংলাদেশি নাগরিককে প্রার্থনা করতে দেখা যায়। অনেককেই ঈদে প্রিয়জনের কথা ভেবে স্বদেশি ভাইকে জড়িয়ে ধরে কাদঁতে দেখা যায়।
সম্প্রতি থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া সীমান্তে অনেক বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গার গণকবর উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় মানবপাচারের ভয়াবহতা আলোচিত হয়ে ওঠে। এ কারণে সাগরপথে মানবপাচার ঠেকাতে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড তাদের জলসীমায় কড়াকড়ি আরোপ করে। এর প্রেক্ষিতে আগে থেকেই রওয়ানা দেওয়া অভিবাসীরা সাগরে ভাসতে থাকে।
তবে, বিভিন্ন অভিবাসী সংস্থার আহ্বানের প্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত সাগরে ভাসমান হাজারো শরণার্থীকে উদ্ধারে রাজি হয় সংশ্লিষ্ট দেশগুলো, জয় হয় মানবতার। এই ধারাবাহিকতায় আচেহ প্রদেশ উপকূল থেকে ভাসমান মানুষদের উদ্ধার করেন স্থানীয় জেলেরা। ক্ষুধার্ত, রোগাক্রান্ত, বেঁচে থাকার যুদ্ধে আহত এসব মানুষের পাশে দাঁড়ায় ইন্দোনেশিয়ার সরকার, বেসরকারি সংস্থা ও সাধারণ মানুষ।
গত ১০ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত আচেহ উপকূল থেকে ১ হাজার ৭৪৪ রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেন স্থানীয় জেলেরা। এই অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে আচেহর চারটি ক্যাম্পে। সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি অভিবাসী রয়েছে লাংসা মিউনিসিপ্যালিটিতে। ১৫ মে সাগর থেকে উদ্ধার ৩০৮ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে সেখানকার ক্যাম্পে। এই ক্যাম্প থেকে ইতোমধ্যে ১২৮ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৫
এমএন/এইচএ/