মালয়েশিয়া: প্রবাসী শ্রমিকরা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে আমাদের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখছেন। ব্যবসার ক্ষেত্রে তারা যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছেন।
শুক্রবার (০৭ আগস্ট) রাতে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাংয়ের হোটেল ফুরামায় আয়োজিত ‘ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স সিরিজ-২০১৫’ এ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান এ কথা বলেন। সেন্টার ফর নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশি’র (এনআরবি সেন্টার) উদ্যোগে এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আর্থিক সহায়তায় এবং বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে ড. আতিউর বলেন, একটি চ্যালেঞ্জ তহবিলের মাধ্যমে দশ হাজার প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মালয়েশিয়ার সরকার ও নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্বচ্ছ, ডিজিটাল ও গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় শ্রমিক নিয়োগ চুক্তি করতে পারলে শিগগিরই মালয়েশিয়া হবে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয়ের অন্যতম বৃহৎ উৎস।
প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আরেকটি অভিনব সাফল্য হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ। সব কিছু এখন ডিজিটাল। প্রবাসীরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রতিদিন ৮০ কোটি টাকা রেমিট্যান্স পাঠায়। প্রযুক্তি এখন হাতের মুঠোয় চলে এসেছে।
বাংলাদেশ এখন ম্যাজিক কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের ব্যাংকে পর্যাপ্ত পরিমান রিজার্ভ রয়েছে। বিদেশিদের কাছে এখন আর হাত পাততে হয় না। আমাদের নিজস্ব অর্থ দিয়ে আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি। বাংলাদেশ সরকার জনগণের সমর্থন নিয়ে সামনে দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
সাংবাদিক কেরামত উল্লাহ বিপ্লবের এক প্রশ্নের জবাবে আতিউর রহমান বলেন, কিছু কিছু ব্যাংক প্রবাসীদের ঋণ দেয়। শ্রমিকরা যাতে মালয়েশিয়া দালালের দ্বারা হয়রানির শিকার না হয়, সেজন্য খুব শিগগিরই এ দেশে থাকা প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বেশ কিছু পদক্ষেপ হাতে নেবে। এজন্য তিনি মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত হাইকমিশনার শহীদুল ইসলামের সহযোগিতা কামনা করেন।
শহীদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের সর্বত্র আমাদের বাংলাদেশ ছড়িয়ে আছে। আপনাদের ভরসা ও সহযোগিতা থাকলে সব সমস্যা দূর করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, বাংলাদেশি রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে সৌদি আরবের পর মালয়েশিয়ার আবস্থান। তাই আগামীতে মালয়েশিয়া
হবে রেমিট্যান্স সোর্স অব বাংলাদেশ।
এম এস সেকিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ ওর্য়াল্ড কনফারেন্স বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন- ঢাকা চেম্বারের সভাপতি হোসেন খালেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিএম মোহাম্মদ আশরাফুল আলম প্রমুখ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- লেবার কনস্যুলার ছায়েদুল ইসলাম মুকুল, ফার্স্ট সেক্রেটারি (পলিটিক্যাল) রইস হাসান সরোয়ার, এস কে শাহীন, লেবার উইং শাহিদা সুলতানা, হাই কমিশনারের মেয়ে সমিকা সবনম।
এতে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসী ব্যবসায়ী, চাকুরিজীবী, সরকারি কর্মকর্তা, কূটনীতিক, ব্যাংকারসহ বিভিন্ন পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিরা নেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫১১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৫
আরএম