ঢাকা: বাংলাদেশে বেশ ব্যস্ত সময় কাটছে মালয় শিক্ষার্থী ব্যবসায়ী জেস লি’র। র্যাংকিংয়ের ৬৬তম ইনফ্রাস্ট্রাকচার বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থী সংগ্রহে তার এই সফর।
সেলানগরের কাজাংয়ের ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন জেস লি।
রাজধানীর উত্তরার এডুজোন নামে একটি স্টুডেন্ট কনসালটেন্সি ফার্ম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) এবি সুপার মার্কেটে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্পট এডমিশন করাবেন তিনি। তবে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া স্টাডি সেন্টার (বিএমএসসিএল) নামে আরেকটি কনসালটেন্সি ফার্মও জানিয়েছে, জেস লি তাদের ফার্মগেটের অফিসে শিক্ষার্থী ধরবেন ভর্তির জন্য।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, মালয়েশিয়ার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তুলনায় আমাদের দেশের প্রথম সারির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান অনেক ভালো।
এছাড়া মালয়েশিয়া থেকে পাস করে আসা শিক্ষার্থীরা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ভালো চাকরি পেয়েছেন এর কোনো উদাহরণ নেই। অথচ মালয়েশিয়া থেকে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের দালালরা এখানে এসে অবলীলায় ব্যবসা করে যাচ্ছেন। এসব তদারকি করার যেন কেউ নেই।
এর আগেও বেশ কয়েকবার ঢাকা এসেছেন জেস লি। ঢাকার স্টুডেন্ট এজেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলো এই নারীকে শিক্ষার্থী সংগ্রহে সাহায্য করে। যার বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থী প্রতি এক থেকে দেড় লাখ টাকা কমিশন পান এজেন্টরা।
বুধবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় এডুজোনে ফোন করলে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার তাদের অফিসেই জেস লি স্পট এডমিশন নেবেন। সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলবে এই শিক্ষার্থী ব্যবসা।
অন্যদিকে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া স্টাডি সেন্টার নামে একটি প্রতারক প্রতিষ্ঠানও তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, জেস লি স্পট এডমিশন করাবেন ফার্মগেটে তাদের অফিসে।
তাই এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি, ধূর্ত জেস লি শেষ পর্যন্ত কোথায়, কতজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ধরতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৫
জেডএস