কুয়ালালামপুর: প্রতিদিনই দেশ থেকে পাঁচ শতাধিক পর্যটক ভ্রমণ করছেন মালয়েশিয়াতে। প্রাকৃতিক সৌর্ন্দযমণ্ডিত দেশটিতে আপনাকে বেড়াতে সাহায্য করবে কুয়ালালামপুরের হোটেল মার্ক।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া এখন দুনিয়াজোড়া পর্যটকদের কাঙ্খিত জায়গা। মুসলিম অধ্যুষিত হলেও পর্যটকদের জন্যে অবারিত বিনোদনের দুয়ার খুলে রেখেছে দেশটি।
ঢাকা থেকে মাত্র পৌনে চার ঘণ্টার প্লেন ভ্রমণে আপনি পৌঁছে যাবেন কুয়ালালামপুরে। সত্যি বলতে এখন ঢাকার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যেতে আপনার সময় আরো বেশি লাগবে।
রাজধানী কুয়ালালামপুরের স্থাপত্য সৌন্দর্য নজরকাড়ে পর্যটকদের। পর্যটক হিসেবে বা প্রয়োজনীয় কাজে কুয়ালালামপুরই প্রাণকেন্দ্র। শহর থেকেই ঘুরে আসতে পারেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত পাহাড় চূড়া আর ক্যাসিনোর রাজ্য গ্যান্টিং হাইল্যান্ডে। ঐতিহাসিক বাতু কেভস না দেখলে মালয়েশিয়াকে উপভোগ করাও বাকি থেকে যায়। আর শহরের ভেতর, জু নেগারা, চায়না টাউন, টুইন টাওয়ার, কেএল টাওয়ার, মারদেকা স্কয়ার আর জমজমাট বুকিত বিনতাংয়ের আকর্ষণ এড়ানো দায়।
আর এসব কিছু ঘুরতে আপনাকে পরিকল্পনা বাতলে দেবে কুয়ালালামপুরের জালান পুডুতে অবস্থিত বাংলাদেশি হোটেল 'দ্য মার্ক'। মার্কের কর্মকর্তারাই আপনাকে গুছিয়ে দেবে পেনাং বা লাঙ্কাউই আর ক্যামেরুন হাইল্যান্ড ঘুরে আসার ছক। পাশের দেশ সিঙ্গাপুর বা থাইল্যান্ডে ঘুরে আসতে চাইলেও ছক কেটে দেবেন তারা।
ভিনদেশে ঘুরতে এসে আপনার খুবই প্রয়োজনীয় তালিকায় অবশ্যই রয়েছে ভাল থাকার স্থান। নির্মল পরিবেশে ৩ তারকা মানের হোটেল পেয়ে গেলে সেটি হবে সোনায় সোহাগা। আর সেখানে যদি থাকে নিজ দেশের ব্যবস্থাপনা, তাহলে তো আর ভাষাজনিত সমস্যাও থাকলো না।
এই হোটেলটিতে থাকার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। মালয়েশিয়ার যে কোনো প্রান্তে পৌঁছুতে বাস পাওয়া যাবে হোটেলটির সামনের পুডুরায়া বাস স্ট্যান্ডে। আর কয়েক মিনিট হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন বুকিত বিনতাংয়ে। বাংলা মার্কেট আর চায়না টাউনের মতো পরিচিত কেনাকাটার জায়গা পাচ্ছেন হোটেলের সামনের রাস্তা পেরুলেই। কেএল টাওয়ার, ঐতিহাসিক সেন্ট্রাল মার্কেট বা মারদেকা স্কয়ার পৌঁছুতেও আপনার প্রয়োজন হবে না কোনো বাহন। হাঁটা দূরত্বেই রয়েছে সবকিছু।
এখান থেকে রয়েছে এলআরটি সুবিধা। পুরো কুয়ালালামপুর আর আশপাশের এলাকা ঘুরতে পাশেই রয়েছে এলআরটি স্টেশন। টাইমস স্কয়ার বা লয়াট প্লাজায় শপিং করতে যেতে পারেন কয়েক মিনিটের ব্যবধানে।
হোটেলের সাজানো লবি সঙ্গে আসা অতিথিকে দেবে সুন্দর রুচির পরিচয়। সেখানে রয়েছে ডেস্কটপে বসেই ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের সুবিধা। সুতরাং ব্যবসায়ীরা লবিতে বসেই সেরে নিতে পারেন প্রয়োজনীয় দাফতরিক কাজ।
বাংলাদেশি ব্যবস্থাপনা হওয়ায় হোটেলের অভ্যর্থনা কেন্দ্রের সাহায্য নিয়েই মালয়েশিয়া ভ্রমণের পরিকল্পনা সাজাতে পারেন। যাতায়াতের পথ বাতলে দেওয়ার সঙ্গে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে হোটেল কতৃপক্ষ কার্পন্য করবে না।
মার্কের রুম ভাড়া কুয়ালালামপুরের অন্যান্য ৫ বা ৩ তারকা হোটেলের তুলনায় হাতের নাগালে। এখানে ১৩৯ রিঙ্গিতের এসেনশিয়াল রুম পাবেন ১১০ রিঙ্গিতে। ১৬০ রিঙ্গিতের সুপেরিয়র রুম ১২৫ রিঙ্গিতে এবং প্রিমিয়ার রুমের ১৮০ রিঙ্গিতের সেবা ১৪০ রিঙ্গিতেই পাবেন আপনি। পর্যটকদের জন্যে আকর্ষণীয় এ মূল্যছাড় ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে গ্রাহকদের।
তবে এই শেষ নয়। বাঙালি বলে কথা, তাই বাঙালির জন্যে ছাড়ের মাত্রাটাও বেশি বেশি। বাংলাদেশ থেকে আসা পর্যটকরা আগাম বুকিং দিয়ে নিতে পারেন আরও ১০ শতাংশ ছাড়ের সুবিধা। আর এ সুবিধা শুধুই বাংলাদেশি গ্রাহকদের জন্যে।
কুয়ালালামপুরের ফেডারেল টেরিটোরিতে অবস্থিত ১০ জালান পুডুর মার্ক হোটেল সেখানে দিচ্ছে পর্যটনবান্ধব আরামদায়ক থাকার পরিবেশ। তাই মালয়েশিয়া ভ্রমণে হোটেল বুকিং এবং মার্ক হোটেলের বিস্তারিত খোঁজ নিতে ভিজিট করুন-www.themarquehotels.com। +60320702300 নাম্বারে ফোন করেও জেনে নিতো পারেন বিস্তারিত।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৫
এমএন/জেডএম