ঢাকা: মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদিকে নতুন কোন কেলেংকারিতে না জড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে দ্যা সেন্টার টু কমব্যাট করাপশন অ্যান্ড ক্রনিজম (সি-৪)।
জাহিদের ভাই আব্দুল হাকিম হামিদির কোম্পানি রিয়েল টাইম নেটওয়ার্কিং বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় ১৫ লাখ শ্রমিক আনার চেষ্টার মাধ্যমে যে কেলেংকারির সূচনা করতে চলেছে, তারও ব্যাখা চেয়েছেন সি-৪ এর নির্বাহী পরিচালক সিনথিয়া গ্রাব্রিয়েল।
সম্প্রতি এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার আরেকটি কেলেংকারির এই প্রকল্পে আমরা উদ্বিগ্ন।
বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আনতে অনুমতি দেয়ার কাজটির সঙ্গে জাহিদের যোগসাজস এবং আত্মীয়তার বিষয়টিতে স্বার্থের বিষয় থাকার সম্ভাবনায় সি-৪ উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
দুর্নীতি বিরোধী ক্যাম্পেইনের এই নেত্রী বলেন, যে কোন সময়ের চেয়ে জনগণের কাছে এই বিষয়টার জবাবদিহিতা অনেক বেশি প্রাষঙ্গিক। জাহিদের ভাইয়ের কোম্পানির এ ব্যবসার সঙ্গে জড়ানোর বিষয়টি স্বচ্ছ করা প্রয়োজন, যখন আমাদের অর্থনৈতিক বাজার থেকে চলে যাচ্ছে বিনিয়োগকারীরা। যে কোন সময়ের চেয়ে রিঙ্গিতের মূল্য ডলারের তুলনায় অনেক ধসে পড়েছে।
আব্দুল হাকিম নিজের কোম্পানিকে রক্ষা করতে বলছেন, এটা সরকারের সঙ্গে নয়, বরং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট এজেন্সির (বায়রার) সঙ্গে সহযোগিতা।
পুত্রজায়ার কাছে সিনথিয়া আরো জানতে চেয়েছেন, এ ধরনের কোম্পানি এরই মধ্যে কাজ করা সত্ত্বেও কেন নতুন করে রিয়েল টাইম নেটওয়ার্ক একই ধরনের প্রস্তাব করেছে।
জাহিদের কাছে সি-৪ আরো ব্যাখা চেয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ১৫ লাখ শ্রমিক আনার পেছনে আর কি কারণ রয়েছে এবং হঠাৎ করে এই সময়ে রিয়েল টাইম নেটওয়ার্কের নতুন খেলোয়াড় হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার কারণ কি? যখন মালয়েশিয়াতে প্রবাসী শ্রমিকদের প্রবেশের বিষয়টি ব্যবস্থাপনার জন্য এনইআরএস এসডিএন বিএইচডি এবং মাইইজি নামে দুটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
তিনি বলেন, জাহিদকে আরো ব্যাখা দিতে হবে, এনইআরএস এর সম্পর্কে, যারা ২০১১ সালে ১২ বছরের জন্যে প্রবাসী শ্রমিকদের রেকর্ড সংরক্ষণ এবং পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পেয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৫
এমএন/জেডএম