কুয়ালালামপুরের দাতারান মারদেকা থেকে: আন্দোলনকারীদের ‘বার্সিহ’ ‘বার্সিহ’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর। আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল রাজধানীর দাতারান মারদেকা পুলিশ ঘিরে রাখলেও এর আশপাশের বিশাল এলাকাজুড়ে হাজারো হলুদ টি-শার্টধারী বিক্ষোভ করে চলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগ দাবিতে শনিবার (২৯ আগস্ট) সকাল থেকে দাতারান মারদেকায় হলুদ টি-শার্ট পরে র্যালি শুরু করে আন্দোলনকারীদের জোট বার্সিহ। তাদের লাগাতার এ র্যালি চলবে রোববার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত।
স্বচ্ছ নির্বাচন, দুর্নীতিমুক্ত সরকার, অর্থনীতি সুরক্ষা ও প্রতিবাদের অধিকার- এ চার দফা দাবি আদায়ে চলছে বার্সিহ জোটের আন্দোলন। শনিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ শুরুর পর আন্দোলনকারীরা রাতও কাটিয়েছেন রাজপথে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ত্রিশ হাজার মানুষ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। যারা শনিবার আন্দোলনে যোগ দিতে পারেননি, তারা রোববার দাতারান মারদেকায় জড়ো হয়েছেন। কর্মসূচির শেষ দিকে যোগ দিচ্ছেন আরও অনেকে।
আন্দোলনকারীদের হাতে হাতে সরকারবিরোধী বিভিন্ন ব্যানার, পোস্টার দেখা যাচ্ছে। জালান রাজা রাউত, মারদেকা স্কয়ারের সম্মুখ, জালান টুংগু আব্দুর রহমান, মসজিদ জামেক, সগু, চায়না টাউন ও সেন্ট্রাল মার্কেটের সামনে বার্সিহ জোটের সমর্থকরা জড়ো হয়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আছেন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
শনিবার রাতের মতো রোববার সকালেও পাসার সেনি সেন্ট্রাল মার্কেট এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন সাবেক প্র্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ ও তার স্ত্রী ড. সিতি হাসমা আলী।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সরকারের ‘১এমডিবি’ প্রকল্প থেকে ২৬০ কোটি ডলার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে সরিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া, আরও বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত জনগণ। এর প্রেক্ষিতে গত কয়েক মাস ধরে উত্তপ্ত মালয়েশিয়ার রাজনীতি। ক্ষুব্ধ বার্সিহ জোটের কর্মীরা আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে প্রধানমন্ত্রী নাজিবের অপসারণের দাবিতে র্যালির ঘোষণা দেয়। সরকারের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত ঘোষণা অনুযায়ী ২৯ ও ৩০ আগস্ট এ কর্মসূচি পালন করছে বার্সিহ।
আর বছরখানেক ধরে নাজিবের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নাখোশ ১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা ৯০ বছর বয়সী মাহাথির। বিশেষত গত জুনে দলীয় একটি সভায় মাহাথিরকে বক্তব্যের মাঝখানেই মঞ্চ থেকে নামিয়ে দিলে বর্তমান নেতৃত্বের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
** মাহাথিরের মেয়ে মেরিনার নেতৃত্বেও লন্ডনে বার্সিহ বিক্ষোভ
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৫/আপডেট ১৬৪৩ ঘণ্টা
এইচএ/