কুয়ালালামপুর: ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটের ফ্লাইটে বিশ্বমানের সেবা দিচ্ছে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম বাজেট এয়ার লাইনস এয়ার এশিয়া। আকাশ পথে নিরাপদ যাত্রা, কেবিন ক্রুদের বন্ধুসুলভ সেবা, সময় মতো টেক-অফ ও টেক অন এবং খাবার পরিবেশনা থেকে শুরু করে সব কিছুতেই আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখেছে এই এয়ারলাইনস।
এমনকি এয়ার গ্যাপেও তুলনামূলক কম জার্কিং এয়ার এশিয়ার ফ্লাইটে। আর ঢাকা-কুয়ালালামপুর রিটার্ন ফ্লাইটের খরচ মাত্র ২৪ হাজার ৪৯৯ টাকা।
শতাধিক যাত্রী নিয়ে শনিবার রাত ১২টা ২০ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে এই এয়ার লাইনসের ফ্লাইট একে-৭০। নির্ধারিত সময়েই উড়াল। টেক-অফের ২০ মিনিট পরই নিরাপদ প্যাকেটে ভাত, মুরগির মাংস, সবজি ও পানিসহ দেশি খাবার পরিবেশন করা হয়। এছাড়া যাত্রীরা ইচ্ছা করলেই অতিরিক্ত যে কোনো খাবার স্বল্পমূলে কিনে খেতে পারেন এয়ার এশিয়ার ফ্লাইটে।
ঢাকা-কুয়ালালামপুর ৩ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের ফ্লাইটে যাত্রীদের সব সময় আগলে রাখলেন ৬ জন কেবিন ক্রু। সিট বেল্ট বাঁধা থেকে শুরু করে নিরাপদ ভ্রমণের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন তারা।
যশোর মনিরামপুরের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম। কুয়ালালামপুরের কোতারায়াতে প্রায় ৫ বছর ধরে ব্যবসা করেন। এয়ার এশিয়া একে-৭০ ফ্লাইটের যাত্রী হয়েছেন তিনিও। এর আগে শরিফুল পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ রুটে এয়ার এশিয়াতে ভ্রমণ করেছেন।
এয়ার এশিয়ার একে-৭০ ফ্লাইটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর রুটে যাত্রী হতে পেরেও খুশি তিনি।
বাংলানিউজকে শরিফুল ইসলাম বলেন, ৫ বছর ধরে কুয়ালালামপুরে থাকি। ব্যবসার জন্য মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রদেশে যেতে হয়। অনেক সময় বাংলাদেশি এক হাজার টাকায় মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে যাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, ১২০ রিঙ্গিত দিয়ে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রমণ করা যায়। কিছুদিন আগে কম্বোডিয়ায় রিটার্ন টিকিটসহ মাত্র ৩০০ (১ রিঙ্গিতে ১৮ টাকা) রিঙ্গিতে ভ্রমণ করেছি।
এতো দিন ঢাকা থেকে অস্ট্রেলিয়াগামী যাত্রীদের ভরসা ছিলো এমিরেটস ও মালয়েশিয়া এয়ারলাইনস। কিন্তু এই দুই এয়ারলাইনসে ভ্রমণ তুলনামূলক অনেক বেশি ব্যয়বহুল। কিন্তু এখন থেকে এয়ার এশিয়ায় মাত্র ৬৫ হাজার টাকায় রিটার্ন টিকিটে ঢাকা থেকে অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ করা যাবে। আমাদের ফ্লাইটটিতেও অনেক অস্ট্রেলিয়াগামী যাত্রী ছিলো।
বর্তমানে ডাস্টি সিজন চলছে কুয়ালালামপুরে। আকাশ সব সময়ই মেঘলা। তবে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (কেএলআইএ-২) নিরাপদে ল্যান্ড করে এয়ার এশিয়ার একে-৭০ ফ্লাইট।
কেএলআইএ-২ বিমানবন্দরে যাত্রী সংখ্যা কম হওয়ায় ইমিগ্রেশন ডেস্কে জটলাও কম। টার্মিনাল-১ এর চেয়ে এখানে ইমিগ্রেশন কম সময়ে সম্পন্ন হয়। বাজেট এয়ারলাইনসগুলো কেএলআইএ-২ তে ল্যান্ড করে।
এয়ার এশিয়ার বহরে এখন নিজস্ব ১৫০টি এ৩২০ এবং ১৫টি এ৩৩০ এয়ারক্রাফট রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন মডেলের আরো ২শ’ এয়ার বাস সংগ্রহ করছে এয়ার এশিয়া। বর্তমানে এই এয়ারলাইনসে ১২৯ গন্তব্যে পৌছানো যায়। ঢাকায় গুলশান, মতিঝিল, বনানী, ধানমন্ডি এবং উত্তরায় এয়ার এশিয়ার অফিস থেকে টিকিট কেনা যাবে।
চার বছর পর নতুন আঙ্গিকে ও আগের চেয়ে বড় পরিসরে বাংলাদেশে যাত্রীসেবা চালু করেছে এই এয়ারলাইনস। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে তাদের ফ্লাইট চালু করলেও নানা জটিলতায় ২০১১ সালের জুলাইয়ে তা বন্ধ হয়ে যায়।
অনলাইনে বুকিংয়ের জন্য এয়ার এশিয়ার ওয়েবসাইট www.airasia.com, আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এয়ার এশিয়ার মোবাইল অ্যাপ এবং সংস্থাটির মোবাইল সাইট mobile.airasia.com-এ যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া + ৮৮০১৯৮৪৫৫৫৬৬৬, +৮৮০১৯৮৪৫৫৫৮৮৮ নাম্বারে ঢাকা এজেন্ট অফিসে যোগাযোগ করা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৫
জেডএম
** ঈদ উপলক্ষে মালয়েশিয়ায় হোটেল মার্কে ৩০ শতাংশ ছাড়