পাহাং (মালয়েশিয়া) থেকে: কোরবানির জন্য বাংলাদেশে খুব সহজেই গরুর দেখা মেলে। কিন্তু মালয়েশিয়াতে গরুর দেখা পাওয়া অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার।
এমনকি মালয়েশিয়ার গরুর ফার্মগুলোতেও গরুর দেখা পাওয়া মুশকিল। পাহাংয়ের টানা রাতা, রিংলেট, টাপাহ ও আইপোহতে প্রায় শত কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মোট পাঁচটি গরুর ফার্মের দেখা পাওয়া গেছে।
কিন্তু এর মধ্যে কোরবানি দেয়ার গরুর দেখা মিলেছে কেবল টাপাহের একটি ফার্মে। পাকিস্তানি মনসুর হোসেনের ফার্মটিতে শতাধিক গরু। পাম বাগান থেকে চারদিন আগে এসব গরু খোঁয়াড়ে আনা হয়েছে। উদ্দেশ্য কোরবানিতে বিক্রি করা। এই ফার্মে প্রায় পাঁচ বছর গরু দেখভাল করেন বগুড়ার গাবতলীর দৌলাত হোসেন ও ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জের বকুল মিয়া।
ফার্মে গরুর দেখা কেন পাওয়া যায় না এমন প্রশ্নের জবাবে বকুল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, সারা বছর গরু পাম বাগানসহ নানা স্থানে ছেড়ে দেয়া হয়। এসব গরু শুধু কোরবানির সময় খোঁয়াড়ে তোলা হয়। কোরবানিতে গরু বিক্রি না হলে আবারও বনে ছেড়ে দেয়া হবে। পরের বছর কোরবানির ঈদের আবারও খোঁয়াড়ে আনা হবে।
জঙ্গলে আপন মনে ঘাস ও লতাপাতা খায় এসব গরু। পুকুর অথবা পাহাড় থেকে আসা ঝর্ণার পানি পান করে। তাদের জন্য বনের মধ্যে তৈরি করে দেয়া হয় ছোট ছোট টিনশেড।
তবে মালয়েশিয়াতে কোরবানির সময় গরুর চাহিদা অনেক। ১২০ কেজি মাংস পাওয়া যাবে এমন একটি গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে সাড়ে তিন হাজার রিঙ্গিত যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭২ হাজার টাকা।
কোরবানির সময় অনেক বাংলাদেশি শ্রমিক গরুর খাবার প্রস্তুত করতে ১০ থেকে ১২ দিন শ্রম দেন। কারণ এই সময় খোঁয়াড়ের গরুকে খাবার দিতে হয়। এক হাজার ভুট্টা গাছ জমি থেকে কেটে আনার বিনিময়ে ৩৫ রিঙ্গিত পান শ্রমিকরা। এছাড়া, পানি ও পামওয়েলের খৈল প্রস্তুত করার জন্যও বাড়তি টাকা পান।
বগুড়া শিবগঞ্জের শ্রমিক রেজা হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কোরবানির সময়ে গরুর খোঁয়াড়ে চুক্তিভিত্তিক কাজ করি। ১০ থেকে ১২ দিন বেশ ভালোই আয় হয়। ভূট্টার গাছ কাটার উপরে আয় নির্ভর করে। যে যত বেশি ভুট্টার গাছ কেটে গরুর খোঁয়াড়ে আনতে পারবে তার তত বেশি আয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৫
এমআইএস/জেডএম
** সুন্দর আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথে সঙ্গী মেঘদল
** ঈদ উপলক্ষে মালয়েশিয়ায় হোটেল মার্কে ৩০ শতাংশ ছাড়
** এয়ার এশিয়ায় কম খরচে মালয়েশিয়া