কুয়ালালামপুর থেকে ফিরে: বাংলাদেশিদের নিয়ে নতুন ব্যবসার ফন্দি এঁটেছে মালয়েশিয়ার কোম্পানি সিনারফ্লাক্স।
জিটুজি বা বিটুবি নয়, সিনারফ্লাক্স (synarflux sdn bhd) নামে নতুন এই মানবশক্তি কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশিদের নিয়ে মনোপলি ব্যবসা শুরু হতে যাচ্ছে।
মালয়েশিয়ায় অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বেসটিনেট নতুন এই কোম্পানির নামে এ ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে পুত্রজায়া সূত্র।
সূত্র জানায়, গত ২১ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশি দূতাবাসকে একটি নথি প্রেরণ করা হয়। যেখানে বাংলাদেশ ওয়ার্কার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (বিডাব্লিউএমএস) নামে নতুন একটি বিষয় সর্ম্পকে বলা হয়। পাশাপাশি বিষয়টি সিনারফ্লাক্স এসডিএন বিএইচডি নামে একটি কোম্পানির হাতে দেয়া হয়।
নথিতে বলা হয়, বাংলাদেশি শ্রমিকদের বায়ো মেডিকেল চেক-আপ থেকে শুরু করে, ভিসা প্রসেসিং, পাসপোর্ট তৈরি এবং নবায়নের বিষয়গুলো পর্যন্ত সিনারফ্লাক্স দেখভাল করবে। শ্রমিকদের নিয়োগ এবং নিবন্ধনের বিষয়টিও থাকবে এই কোম্পানির হাতে।
বর্তমানে মালয়েশিয়া থেকে অবৈধ শ্রমিকদের দেশে ফেরত অানার কাজটি কাগজে কলমে করছে বেসটিনেট। তবে অাদতে ইমিগ্রেশন বুথ থেকে বাংলাদেশিদের কাছ থেকে বাড়তি এক হাজার রিঙ্গিত নেয়া ছাড়া কিছুই করছে না কোম্পানিটি। এক্ষেত্রে কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ দূতাবাসও অনেকটা অসহায় বলে জানিয়েছে সূত্র।
বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র বাংলানিউজকে বলেন, এর অাগে মালয়েশিয়ার বিষয়টি দেখতো বেসটিনেট। কিন্তু এবার ঢাকায় কুয়ালালামপুর দূতাবাসেও প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে সিনারফ্লাক্স। এর ফলে বাংলাদেশিদের হাতে থাকবে না শ্রমিক নিয়োগ এবং শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি।
সিনারফ্লাক্সের এ অপকর্মের পেছনে পুরনো কোম্পানি বেসটিনেটকেই ইঙ্গিত করছে পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন সূত্র। আর এর মূলে রয়েছেন অামিনুর রশিদ নামে একজন বাংলাদেশি, যিনি বেসটিনেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
বেসরকারি এই আইটি কোম্পানিটির একজন পরিচালক হচ্ছেন মালয়েশিয়ার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তানশ্রী আজমী খালিদ এবং শ্রম বিভাগের সাবেক পরিচালক দাতুক টেংকু ওমর টেংকু বট।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৫
এমএন/আরআই
** বাংলাদেশিদের ওপর বেসটিনেটের থাবা