ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ স্টুডেন্ট নাইট

দেশের নামে বিদেশি সংস্কৃতির বিলাসবহুল আয়োজন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৫
দেশের নামে বিদেশি সংস্কৃতির বিলাসবহুল আয়োজন

কুয়ালালামপুর (মালয়েশিয়া): আগামী ৩১ অক্টোবর মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশি স্টুডেন্ট নাইট (বিএসএন)। বহুল সমালোচিত জাকজমকপূর্ণ এই অনুষ্ঠানের এটি তৃতীয় আসর।

এ অনুষ্ঠান নিয়ে সুবিধাগ্রহণকারী একটি শ্রেণীর মানুষের বিশেষ প্রচারণা থাকলেও অধিকাংশ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীই এটিকে বয়কট করেছে। অনুষ্ঠানটি মূলত ভারতীয় সংস্কৃতিকেই বহন করে বলে জোর অভিযোগ আছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৩ সালে শুরু হয় বাংলাদেশ স্টুডেন্ট নাইটের যাত্রা। মালয়েশিয়ার মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হলে পর্দা উঠে এর প্রথম আসরের। সেই সময়ে উশৃঙ্খলতার জন্য কঠোরভাবে সমালোচনার মুখোমুখি হয় অনুষ্ঠানটি।

বিদেশের মাটিতে দেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে না পারলেও আবর্জনার দুর্নাম কুড়িয়েছিল অনুষ্ঠানটি। অনুষ্ঠানের পর প্রতিবারই অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্নতার অভিযোগ পাওয়া যায় বিশবিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীর পক্ষ থেকে- যা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে।

এছাড়াও পুরো অনুষ্ঠানে দেশীয় সংস্কৃতিক চর্চার নামে শোভা পায় ভারতীয় সংস্কৃতি। সঙ্গে থাকে পশ্চিমের প্রভাব। এর প্রভাবে মালয়েশিয়ায় এখন অনেকেই ভারতীয় হিন্দি সংস্কৃতিকেই বাংলাদেশি সংস্কৃতি হিসেবে ভেবে বসেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসএন পরিচালনা কমিটির একজন সদস্য বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সবাই চাই বাংলাদেশকে নিয়ে এরকম বড় অনুষ্ঠান হোক। কিন্তু জাতীয় স্বার্থের দিকের চেয়ে এখানে ব্যক্তিগত স্বার্থের বিবেচনা করেই আয়োজন করা হয়। এখানে ইন্দোনেশিয়ান স্টুডেন্ট নাইট, জাপানিজ স্টুডেন্ট নাইট, কোরিয়ান স্টুডেন্ট নাইটও আয়োজন হয়ে থাকে। তবে বিএসএন'এর মতো এতো বিলাস বহুলভাবে অনুষ্ঠানের কোন প্রয়োজন নেই। আর হলেও, বেশির ভাগ থাকে পশ্চিমা নাচ এবং ভারতীয় সংস্কৃতির যোগফল। তিনি আরো জানান, এই অনুষ্ঠানে শুধু লাইটিং এর জন্যই খরচ করা হয় কয়েক লক্ষ টাকা।

অনুষ্ঠানের মূল পরিচালক মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাশিক হায়দারের নামেও রয়েছে শিক্ষার্থীদের এন্তার অভিযোগ। তার একক নির্দেশনায় চলে এই অনুষ্ঠান। কোন বিষয়ই কারো পরামর্শ নিতে নারাজ তিনি। অনুষ্ঠানে বিদেশি সংস্কৃতির প্রচারণা তার পরামর্শেই হয়ে থাকে।

জানা যায়, এবারের আসরেও পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রাধান্য বেশি। আরো বড় আকারে বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানির পৃষ্ঠপোষকতায় এবার মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়ান তুনকু চ্যান্সেলরের প্রধান হলে আয়োজন করা হচ্ছে এর তৃতীয় আসর। এবারের বাজেট ধার্য করা হয়েছে প্রায় ৮-১০ লক্ষ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৫
এমএন/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মালয়েশিয়া এর সর্বশেষ