কুয়ালালামপুর: মালয়েশিয়া অাসার চারদিনের মাথায় নিখোঁজ হয়েছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রেজাউন উর রহমান। তার পাসপোর্ট নম্বর বিই ০২৪২৪৯২।
নিখোঁজ রেজাউনের বোন দিলরুবা অাক্তার বাংলানিউজকে জানান, গত ১৯ অক্টোবর কুয়ালালামপুরে এসেছিলেন তিনি। গত ২৩ অক্টোবর পরিবারের সঙ্গে শেষ যোগাযোগ করেন রেজাউন। এরই মধ্যে কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং মালয়েশিয়া পুলিশের শরণাপন্ন হয়েও সাহায্য পাচ্ছে না পরিবারটি।
দিলরুবা জানান, গত ১৮ অক্টোবর ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে ১৯ অক্টোবর কুয়ালালামপুর পৌঁছান রেজাউন। এয়ারপোর্টে এফটিএমএস কলেজের প্রতিনিধি তাকে রিসিভ করেন এবং পরে কলেজের পাশে জালান হাং কাস্তুরিতে ব্যকপেকার লজে আপাত থাকার ব্যবস্থা করে দেন। রেজাউন কলেজটিতে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন। এ সময় তিনি পরিবারকে এসব তথ্য জানিয়েছিলেন এবং +৬০১৪৩০৯৮৫৭৯ এর একটি ফোন নম্বর ব্যবহার করেছিলেন।
২৩ অক্টোবর ভাইবারে রেজাউন অস্পষ্টভাবে জানিয়েছিলেন, এয়ারপোর্টে টিকেট চেক-আপের পার্ট টাইম চাকরি হয়েছে তার। কিভাবে এতো দ্রুত চাকরি হলো এবং বিস্তারিত জানতে তার দুলাভাই টেক্সট করলেও তার উত্তর ছিল অস্পষ্ট।
২৫ অক্টোবর রেজাউনের পরিবার বাংলাদেশ থেকে ফোন দিয়ে জানান, ২৩ অক্টোবরের পর থেকে তাকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। ভাইবার এবং ফেসবুকেও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।
দিলরুবা জানান, ২৬ অক্টোবর তারা হোটেলটিতে খোঁজ নিয়ে সেখানে রেজাউনের ব্যাগ, পাসপোর্ট এবং অন্যান্য জিনিসপত্র পেয়েছেন। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৩ অক্টোবরের পর থেকে তার কোনো খোঁজ নেই।
কলেজের স্টুডেন্ট কাউন্সেলর আর্শাদ বাজওয়া জানান, রেজওয়ান সর্ম্পকে তারা তখনো কিছুই জানেন না। স্থানীয় থানায় এ সম্পর্কে অভিযোগ জানাতে ফোন দিলেও তারা একজন অারেকজনের নম্বর দিয়ে যোগাযোগ করতে বলেন। পরে পুলিশ তাদের বাংলাদেশ অ্যাম্বেসিতে যোগাযোগ করতে বলেন।
বাংলাদেশ অ্যাম্বেসিতে যোগাযোগ করলে কর্তৃপক্ষ দিলরুবাদের থানায় ডায়েরি করতে বলেন। উভয় দ্বন্দ্বে পড়ে যায় পরিবারটি। পরে অ্যাম্বেসি একটি লিখিত অভিযোগ জানাতে বলে।
পরে নিখোঁজের দুলাভাই তার এক সহকর্মীর সাহায্যে বন্দর সানওয়ে থানায় একটি রিপোর্ট দাখিল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৫
এমএন/এএসআর