কুয়ালালামপুর (মালয়েশিয়া): মালয়েশিয়াতে আগামী তিন বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে ১৫ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের সরকারি পরিকল্পনার ব্যাপক বিরোধিতায় নেমেছে সে দেশের ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস। বাংলাদেশ থেকে এই পরিমাণ শ্রমিক নিলে মালয়েশিয়ার শ্রম আইনের নীতি বিরুদ্ধ হবে বলেও মন্তব্য করে সংগঠনটি।
এমটিইউসি’র সেক্রেটারি জেনারেল এন গোপাল কিশনাম বলেন, মালয়েশিয়াতে ইতিমধ্যে ২.১ মিলিয়ন বিদেশি বৈধ শ্রমিক রয়েছে এবং ৪ মিলিয়ন বিদেশি অবৈধ শ্রমিক রয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে আরও ১৫ লাখ শ্রমিক নিলে তা মালয়েশিয়ার শ্রমশক্তির শতকরা ২০ ভাগে দাঁড়াবে।
‘বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকেই কেন বিদেশি শ্রমিক আনতে হবে’ বলেও দেশটির সরকারের প্রতি প্রশ্ন ছোড়েন এমটিইউসির সেক্রেটারি জেনারেল।
গত বুধবার (৪ নভেম্বর) মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদি বাংলাদেশি শ্রমিকদের সৎ ও বিশ্বস্ত বলে প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আগামী ৩ বছরে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি থেকে ১৫ লাখ শ্রমিক আনা হবে।
উপ-প্রধানমন্ত্রী জাহিদ হামিদির বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এন গোপাল কিশনাম বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের সমালোচনা ফের শুরু করেন।
গোপাল কিশমান বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করতে ‘ইলেভেন্থ মালেশিয়ান প্ল্যান’ পরিকল্পনা অনুযায়ী বৈদেশিক শ্রমিকের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে শ্রমশক্তির শতকরা ১৫ ভাগ রাখা। মালয়েশিয়ায় বেতন ও সুযোগ সুবিধা কম বলে বিদেশে কাজ করতে বেশি আগ্রহী মালয়েশীয়রা। প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার মালয়েশীয় প্রত্যেকদিন সিঙ্গাপুরে কাজ করতে যায়। এদের আয়ের অর্থ রিঙ্গিতে পরিবর্তন করলে মালয়েশিয়ার স্বাভাবিক আয়ের চেয়ে অনেক বেশি।
নিয়োগদাতাদের বিদেশি সস্তা শ্রমের ওপর নির্ভরতা দেশের আয়কে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং নিন্ম আয়ের শ্রমিকদের আয় অনেকাংশে কমে যাবে। এতে মালয়েশিয়ার ২০২০ সালের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গত আগস্ট মাসেও বাংলাদেশ থেকে ১৫ লাখ শ্রমিক নেওয়ার ব্যাপারে সরকারের পরিকল্পনার বিরোধিতা করে মালয়েশিয়ান ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস (এমটিইউসি)।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৫
এমজেএফ/