কুয়লালামপুর: মালয়েশিয়ায় প্রদীপ জ্বালিয়ে মঙ্গল কামনা করে দিপাবলী উৎসব পালন করেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) দেশটির কুয়ায়ালালামপুরসহ প্রদেশগুলোতে হিন্দুদের দীপাবলি বা দিওয়ালি যথাযথ আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়।
দীপাবলী উৎসবের দিন মালেশিয়াতে সরকারি ছুটি পালন করা হয়। দীপাবলি মানেই প্রদীপের সমষ্টি। মালয়েশিয়াতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ঘরে ঘরে ছোটো মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে অমঙ্গল থেকে রক্ষা এবং বাড়িঘরে সারা রাত প্রদীপ জ্বালিয়ে লক্ষ্মীকে আমন্ত্রণ জানান। এছাড়া তারা অমঙ্গল বিতাড়নের জন্য আতসবাজি পোড়ানো এবং মিষ্টি বিতরণ করেন।
মালয়েশিয়ায় হিন্দুদের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি মন্দির হলো সেনতুল ,চায়না টাউন ,বাটু কেবস ,সেরেমবান ইত্যাদি। এসব মন্দিরে হিন্দুরা পূজাসহ আরও বিভিন্ন অনুষ্টানে অংশ নেন। এছাড়া বাংলাদেশি হিন্দুরা কুয়ালালামপুরের পোর্টডিকসন এলাকায় একটি মন্দিরে কালীপুজাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় বাংলাদেশ কমিউনিটি।
মালয়েশিয়ায় দিপাবলী উপলক্ষে কুয়ালালাপুরের লিটল ইন্ডিয়া, বুকিত বিনতাং, কোটারায়াসহ এর আশ পাশের এলাকার রাস্তাঘাট, দোকান ও বাড়ির গেট বিভিন্ন রঙ বেরঙের বাহারি সাজ করা হয়। মালয়েশিয়ার বড় শপিং মলগুলোতে ‘হ্যাপি দীপাবলি’ লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুনদিয়ে সাজানো হয়।
দীপাবলি উৎসবে হিন্দুরা সপরিবারে ঘুরতে বের হন এবং বিভিন্ন শপিং মলে কেনাকাটাও করেন। নিজেদের রান্না করা খাবার আত্মীয় স্বজনদের দাওয়াত করে খাওয়ান। মালেশিয়ার অন্যান্য উৎসবের মতই দীপাবলী একটি বড় উপলক্ষ্য এবং জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে এতে অংশ নিয়ে থাকে। বিশেষ করে নৃত্য অনুষ্ঠানগুলো উপভোগ করেন তারা।
মালয়েশিয়া বার্তা সংস্থা বারনামা জানিয়েছে, হিন্দুদের গুরুত্বপূর্ণ উৎসব দীপাবলীকে কেন্দ্র করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক ও তার স্ত্রী রুসমা মনসুর কুয়ালালামপুরের কয়েকটি মন্দির পরিদর্শন করেন। এসময় তারা প্রদীপ জ্বালিয়ে দেন এবং কেক কাটেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৫
বিএস