মালয়েশিয়া: মালয়েশিয়ার জোহর বারু ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মালয়েশিয়ায় (ইউটিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসব।
২৬ থেকে ২৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়ান সুলতান ইস্কান্দার হলে অনুষ্ঠিত হয় এ আয়োজন।
ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণকারীরা ম্যারাথন দৌড় (জম্বি রান), প্যাডেল বোট, অ্যাংরি বার্ড, আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। বুথ প্রেজেন্টেশনে প্রতিটি দেশ তাদের নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে তুলে ধরে।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, জাতীয় পোশাক, অলঙ্কার, বাদ্যযন্ত্র ও খাবারসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন দর্শকদের কাছে।
বাংলাদেশের মানচিত্র, নকশিকাঁথা, রিকশা, স্মৃতিসৌধ, নৌকা, হাতে তৈরি শাপলা, ঘুড়ি, কুলা, পেঁচা, মাছসহ দেশীয় অনুষ্ঠান উদযাপনের ছবি দিয়ে স্টল সাজান শিক্ষার্থীরা। স্টল পরিদর্শনকারীদের দেশীয় খাবার ও মিষ্টান্ন পরিবেশন করা হয়।
খাবার পরিবেশনা প্রতিযোগিতায় ইরান, সুদান, লিবিয়া, ফিলিস্তিন, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ইয়েমেন, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, মালয়েশিয়া, জর্ডান ও ইরিত্রিয়ার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলাদেশ প্রথম স্থান অর্জন করে।
শনিবার (২৮ নভেম্বর) সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় বাংলাদেশের নাম ঘোষণা হলে প্রথমেই দেখানো হয় স্বল্পদৈর্ঘ্যর প্রামাণ্যচিত্র। এরপর একটি দলনৃত্য ও ফ্যাশন শো পরিবেশন করেন শিক্ষার্থীরা। দেশের গান ও আধুনিক গানের তালে নৃত্য পরিবেশন করেন তারা। ফ্যাশন শো'তে নবান্ন, পহেলা ফাল্গুন, পহেলা বৈশাখ উপস্থাপন করা হয়।
এছাড়াও ক্রিকেট, মোরগ লড়াই, কুতকুত, কানামাছি ইত্যাদি খেলা দেখানো হয়। এ সময় গ্যালারি থেকে হাজারো দর্শকের হাততালি এবং বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ধ্বনিতে গোটা হল মুখরিত হয়।
ইউটিএমের বাংলাদেশি স্টুডেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান এবং ব্যাচেলর অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী শামসুর রহমান আকাশ বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক আয়োজনে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করার সুযোগ পেয়েছি। প্রায় ১৩টি দেশের সাথে প্রতিযোগিতা করে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকটিতে পুরস্কার পেয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৫/আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা
এমজেএফ/