মালয়েশিয়া থেকে: ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার (আইআইইউএম) উম্মাটিক ফেস্টিভ্যালে ‘কালচারাল পারফর্মেন্স’ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ টিম।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ৮টায় কালচারাল অ্যাক্টিভিটি সেন্টারে (সিএসি) অনুষ্ঠিত হয় এ অনুষ্ঠান।
পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত বিজয়ী হিসেবে যখন বাংলাদেশের নাম ঘোষণা করা হয়, তখন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা উল্লাসে ফেটে পরেন। ‘বাংলাদেশ’ ছাড়া আর কোনো শব্দই শোনা যাচ্ছিলনা সে সময়। ট্রফি হাতে বিজয়ী দল এবং বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আনন্দ উল্লাস আর বাংলাদেশ বাংলাদেশ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হচ্ছিল পুরো হল।
গত ২৪ থেকে ৩০ নভেম্বর সাত দিনব্যাপী এ আয়োজনে প্রায় ৫০টির বেশি দেশের শিক্ষার্থীরা উম্মাটিক ফেস্টিভ্যালে অংশ নেন।
এসময় তারা তাদের দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে তুলে ধরেন। এছাড়াও প্রায় প্রত্যেক দেশের রয়েছে নিজস্ব স্টল। এর মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, জাতীয় পোশাক, আসবাবপত্র, গান বাজনা, নাচ, বাদ্যযন্ত্র, খাবারসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন দর্শকদের কাছে।
সোমবার রাতে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নাম ঘোষণা হলে প্রথমেই দেখানো হয় দেশের উপর নির্মিত একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের প্রামাণ্য চিত্র।
বাংলাদেশের হয়ে এবারের উৎসবে ১৮ জনের একটি দল নৃত্য পরিবেশনা করেন। আদিবাসীদের গান, দেশের গান ও আধুনিক গানের তালে নাচের মাধ্যমে প্রিয় দেশকে উপস্থাপন করেন শিক্ষার্থীরা। পরিবেশনা শেষে তারা মানব স্মৃতিসৌধ তৈরি করেন।
এসময় গ্যালারি থেকে হাজারো দর্শকদের হাততালিতে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ধ্বনি গোটা হল জুড়ে মুখরিত হয়।
এছাড়া আকর্ষণীয় ভাবে সাজানো হয় বাংলাদেশি স্টলটি। সেখানে বাংলাদেশের মানচিত্র, স্বাধীনতার ইতিহাস, দেশের সংস্কৃতি, লালনের ছবি, নকশি কাঁথা, রিকশা, পালকি, হাতে আঁকা বিভিন্ন ছবি ও কারুকাজে লেখা বাংলাদেশসহ দেশি আসবাবপত্র রাখা হয়। স্টল পরিদর্শনকারীদের দেশীয় খাবার ও মিষ্টান্ন খেতে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ কমিউনিটি পক্ষে ব্যাচেলর অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী শেখ শাহ আলী রিয়াসাত বাংলানিউজকে বলেন, কয়েক বছরের মধ্যে এবার ভালো পারফর্ম করেছে বাংলাদেশ। সবার অংশগ্রহণ, চেষ্টা এবং শ্রম আমাদের এ আয়োজনকে আরও সুন্দর করেছে। এই বিজয় কমিউনিটির জন্য একটি মাইলস্টোন হয়ে থাকবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৫
বিএস