ঢাকা: আধুনিক মালয়েশিয়ার কর্ণধার ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ অভিযোগ করেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নাজিব তুন রাজাকের পক্ষ থেকে তাকে মোটা অংকের ঘুষের প্রস্তাব করা হয়েছিল। বুধবার (০৯ ডিসেম্বর) নিজের একটি ব্লগে তিনি এই অভিযোগ করেন।
এতে তিনি বলেন, নাজিব পর্যায়ক্রমে আমার সাথে দেখা করতেন। আমি মনে করেছিলাম মালয়েশিয়ার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি বৈঠকে বসতে চাইছেন। পরে আমি বুঝতে পারি যে, আমাকে ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে যাতে আমি ১এমডিবি (ওয়ান মালয়েশিয়ান ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট) কেলেংকারির ব্যাপারে কোন প্রশ্ন না তুলি।
তিনি বলেন, সরকারি তহবিলের ক্ষতির পরিমাণ এতোই বেশি যে, সেটা কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। প্রধানমন্ত্রী নাজিব তার অ্যাকাউন্টে দুই দশমিক ছয় বিলিয়ন রিংগিতের (৪ হাজার ৭২৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা) যে ব্যখ্যা দিয়েছেন, সেটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
নাজিবের সব ভালো কাজের সঙ্গে তিনি তার পাশে ছিলেন উল্লেখ করে মাহাথির বলেন, ১৩তম জাতীয় নির্বাচনে আমি তার পাশে ছিলাম। সব ধরনের সমর্থন ও সহায়তা দিয়েছি। তবে দেশের থেকে দল বড় হতে পারে না।
তিনি বলেন, ১এমডিবি কেলেংকারির পর তাকে সমর্থন করা আর আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত একাউন্টে ২.৬ বিলিয়ন রিংগিত থাকাটা স্বভাবিক নয়। মালয়েশিয়ার ইতিহাসে কোনো প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত তহবিলে এতো পরিমাণ অর্থ থাকার রেকর্ড নেই।
নাজিবের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে জানা যায় মধ্য প্রাচ্যের একজন দাতার কাছ থেকে এই বিশাল পরিমান অর্থ জমা হয়েছে।
নাজিবের এই ব্যাখ্যাকে পুরোপুরি ভিত্তিহীন দাবি করেন মাহাথির প্রশ্ন করেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদন্ত প্রতিবেদন তাহলে কেন অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে যাওয়ার পর বাতিল হয়ে যায়?
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে যুক্তরাষ্ট থেকে প্রকাশিত ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল পত্রিকায় মালয়শিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব তুন রাজাকের উপর ২.৬ বিলিয়ন রিংগিত আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। পরবর্তিতে বিভিন্ন প্রমাণের পরিপ্রেক্ষিতে ১এমডিবি’র নামে এই বিশাল পরিমান অর্থ লেনদেনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৫
আরএইচ