কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া: গ্যান্টিং হাইল্যান্ডে দুই বাংলাদেশি শ্রমিককে হত্যার অভিযোগে ৬ মায়ানমার নাগরিককে আটক করেছে মালয়েশিয়া পুলিশ।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) দেশটির পুলিশের একজন সুপারিনডেন্ট মানসুর মোহাম্মদ নূর বলেন, দুই বাংলাদেশিকে ৪ হাজার রিঙ্গিতের জন্যে অপহরণ করা হলেও পরে সন্দেহভাজনরা আরো বেশি মুক্তিপণ দাবি করেন।
তিনি বলেন, একজন নিহত ব্যক্তি ছিলেন নির্মাণ কাজের তত্ত্বাবধায়ক। তার পরিবার ২৭ হাজার রিঙ্গিত মুক্তিপণ দেয়। তবে সন্দেহভাজনরা ৫০ হাজার রিঙ্গিত দাবি করেন।
দুই বাংলাদেশিকে গিরিখাতের নিচে ফেলে দিয়ে, পাতা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল বলে জানান মানসুর।
২২ থেকে ৩৪ বছর বয়সী ছয়জন মায়ানমারের নাগরিককে এ অভিযোগে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
মানসুর বলেন, খুন হওয়া ব্যক্তিদের বয়স ছিল ২০ এবং ২৯। তাদের বন্ধু গত ২৯ নভেম্বর তার সহকর্মীদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, পুলিশ গ্যান্টিং হাইল্যান্ডের রাস্তার ৩০ মিটার নিচে জঙ্গলে সন্দেহভাজনদের একটি মোটরসাইকেল এবং টুপি পান। এরপর পুলিশ গত ৫ ডিসেম্বর কুলিম এবং কেদাহ থেকে ৫ মায়ানমার নাগরিককে আটক করেন।
পরের দিন পুলিশ গ্যান্টিং হাইল্যান্ড থেকে আরেকজন মায়ানমারের নাগরিককে আটক করেন। তিনিই পুলিশকে বলেন, কোথায় দুই বাংলাদেশির লাশ ফেলে রাখা হয়েছে।
মানসুর বলেন, তদন্তে বলা হয়েছে, বাংলাদেশিদের খুন করে মূল সড়কের পাশে গভীর জঙ্গলে নিক্ষেপ করা হয়। সেখানে পৌছাতে ৪ ঘণ্টা পাহাড় বেয়ে নামতে হয়।
ময়নাতদন্তে দেখা যায়, খুন হওয়া ব্যক্তিদের একজনকে ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। আরেকজনের মরদেহ পচেঁ যায়, তাকে দম বন্ধ করে মারা হয়েছিল।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ডানগান জেলায় সেপটিক ট্যাংকে ৪৩ বছর বয়সী বাংলাদেশি শ্রমিক হুসেইনের মরদেহ পাওয়া যায়।
ট্যাংকির ওপর ধারালো অস্ত্রের আঘাতের রক্তের চিহ্ন পাওয়া যায়। জেলা পুলিশের প্রধান আহমেদ জাইলানি ইয়াকুব বলেন, আমরা ময়নাদতদন্তের জন্যে অপেক্ষা করছি এবং ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়া আরেকজন শ্রমিককে খুঁজছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫
এমএন/বিএস