কুয়ালালামপুর: মালয়েশিয়ার ফেডারেল রাজধানী কুয়ালালামপুরের বেশ কিছু স্থান এখন বাংলাদেশি নাগরিক অধ্যুষিত। এছাড়াও রয়েছে মায়ানমার, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের অভিবাসীরা।
আর সেন্তুল, চেরাস, জালান টুংকু, আব্দুর রহমান ও জালান তুন পেরাক এসব এলাকাই এখন বিদেশিদের অবস্থানের জায়গা।
জালান তুন তান সুই সিনের আগের নাম জালান সিলাং। এলাকাটি এ নামেই এখনো বেশি পরিচিত। শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ স্থানটি এখন বাংলাদেশিরা নিজেদের করে নিয়েছেন।
মালয়েশিয়ার সংবাদ সংস্থা বারনামার সাংবাদিকরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেন, জালান সিলাংয়ের আনাচে-কানাচে অসংখ্য বিদেশি ব্যবসায়ী, বিশেষ করে বাংলাদেশি।
এখানে মুদির দোকান থেকে শুরু করে খাবারের দোকান, কাপড়ের দোকান সবখানেই বাংলাদেশিদের দাপট। নিজেদের মতো করেই চলাফেরা করছেন তারা।
এমনকি স্থানীয়রাও এখন ওই পথ পাড়ি দেওয়ার সময় অস্বস্তি বোধ করেন। এতো বিদেশির ভিড়ে নিজেদেরই ‘ভিনদেশি’ মনে হয়।
এখানকার দোকানগুলোর লেখাম, ব্যানার, ফেস্টুনের দিকে তাকালে বোঝার উপায় নেই, আপনি মালয়েশিয়া, নাকি বাংলাদেশ না নেপালে!
মালয় ব্যবসায়ীরাই কোণঠাসা
এক মালয় ব্যবসায়ী বলেন, এখানে এতো সংখ্যক বাংলাদেশিদের অবস্থান যে, এ স্থানকে এখন ‘বাংলা সিটি’ বলা হয়।
তিনি বলেন, এখানে স্থানীয় ব্যবসায়ী, এমনকি স্থানীয়দের খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এখানে বেশিরভাগই বিদেশি।
তিনি বলেন, স্থানীয়রা বিশেষ করে নারীরা এ স্থান দিয়ে চলাচলে অস্বস্তি বোধ করেন। কারণ, বহু সংখ্যক বিদেশি এখানে জড়ো হয়ে আড্ডা দেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মিস লিম বলেন, আমার কাপড়ের দোকানের সামনে সবসময় কয়েকশ’ বিদেশি দেখেই আমি অভ্যস্ত।
তিনি বলেন, যেখানে আমাদের স্থানীয়দেরই বাধ্যতামূলক লাইসেন্স লাগে। সেখানে এতো সংখ্যক বিদেশি কিভাবে ব্যবসা করছেন, তা দেখে মাঝে মাঝে আশ্চর্য হতে হয়।
তিনি বলেন, বিদেশি ব্যবসায়ীরা এখানে তাদের নিজেদের দেশের পণ্যই বিক্রি করছেন। এখানে বিদেশি ব্যবসায়ীদের দাপটে স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরই অস্তিত্বহীন মনে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৬
এমএন/জেডএস