কুয়ালালামপুর: মালয়েশিয়ায় যাত্রা শুরু করলো লিটল টুইঙ্কেলস প্রি-স্কুল। প্রবাসী বাংলাদেশি পরিবার ও তাদের সন্তানদের জন্য বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার যৌথ বিনিয়োগে এই স্কুল।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের গ্যান্তিং ক্লাং সড়কের ডানা কোটায় বুধবার (৬ জানুয়ারি) এই স্কুলের উদ্বোধন করা হয়।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব এস কে শাহীন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, শিশুরা যেনো কোনোভাবেই পড়াশোনাকে বোঝা মনে না করে স্কুল কর্তৃপক্ষকে সেদিকে মনযোগী হতে হবে। নতুন ধারায় আনন্দের মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষাদানের এ পদ্ধতি প্রশংসনীয়। মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের এ যৌথ উদ্যোগকে স্বাগত জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে লিটল টুইঙ্কেলস স্কুলের প্রধান নির্বাহী পরিচালক সিসিলিয়া শারমিনি বলেন, মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের কাছে অপেক্ষাকৃত কম খরচে মানসম্মত শিক্ষা পৌঁছে দিতে আমাদের এই উদ্যোগ। আমরা বিশ্বাস করি শেকড় মজবুত হলে গাছ বড় হতে কোনো সমস্যা হবে না।
এই ধারণাকে সামনে রেখে ‘থ্রি এম’ (Manage, Motivate, Mould) কনসেপ্ট নিয়ে বাচ্চাদের মাঝে আমরা কার্যকরী শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করবো বলে জানান সাবেক এই ব্যাংকার।
স্কুলের অন্যতম পরিচালক বাংলাদেশি হাফিজুর রহমান বলেন, মালয়েশিয়ায় বসবাস করে এমন বাংলাদেশি পরিবারের সংখ্যা একেবারে কম নয়। অনেকে আবার স্বল্প খরচে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করানোর জন্য মালয়েশিয়াকে প্রথম পছন্দ হিসেবে বেছে নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, এখানে বিদেশিদের স্কুলের পড়াশোনার খরচও বেশি। মূলত মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার ও তাদের ছেলেমেয়েদের কথা মাথায় রেখে আমরা এই প্রি-স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছি।
দু’ধাপে বিভক্ত স্কুলটিতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পড়ানো হবে। এরপর বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঘরোয়া পরিবেশে তাদেরকে যত্ন সহকারে রাখা হবে। এর মাধ্যমে দু’দেশের সাংস্কৃতিক একটি বন্ধন তৈরি হবে বলেও মন্তব্য করেন হাফিজুর রহমান।
ইংলিশ মিডিয়াম এ স্কুলে বাংলাভাষা ও সংস্কৃতি শিক্ষা দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে একজন বাংলাদেশি শিক্ষিকা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যোগ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশি বধূ মালয়েশিয়ান তরুণী শাহিদা শাশা এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা যারা বাংলাদেশি ছেলেদের বিয়ে করেছি তাদের জন্য এই প্রি-স্কুল শতভাগ উপযোগী। এর মাধ্যমে একইসঙ্গে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সম্পর্কে জানতে পারবে শিশুরা। এছাড়া কর্মজীবী মায়েরা তাদের বাচ্চাদের রাখার একটা নির্ভরযোগ্য স্থান খুঁজে পাবে।
মালয়েশিয়ান তরুণী ময়ুরী আলহেন্দ্রান অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা স্কুলটি পরিদর্শন করেন।
কোরান তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানের শুরুতেই দু’দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে প্রধান অতিথি এস কে শাহীনের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এসময় বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অভিভাবকরা তাদের বাচ্চাদের নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৬
এমএন/জেডএস