মালয়েশিয়া: সবুজ প্রকৃতি, নদী এবং ঝর্নার দেশ হিসেবে খ্যাতি রয়েছে মালয়েশিয়ার। দেশটির পর্যটন শিল্প বেশ সুসজ্জিত হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক আসেন এর প্রকৃতি ও সৌন্দর্য দেখতে।
মালয়েশিয়ার বিখ্যাত পর্যটন স্পটগুলোর মধ্যে অনন্য রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে ৭৫ কিলোমিটার দূরে কুয়ালা কুবু বারু এলাকার পাশ ঘেঁষে বয়ে যাওয়া ‘চিলিং ওয়াটার ফল’ বা শীতল ঝর্না।
এই ঝর্নার পানি অতিরিক্ত শীতল হওয়ার কারণে এর এমন নামকরণ। এ দেশের অন্যান্য স্পটগুলো থেকে শীতল ঝর্না একটু ব্যতিক্রম। ফলে তা সহজেই পর্যটকদের দৃষ্টি কাড়ে।
এই ঝর্নার দর্শন পেতে চাইলে সবুজে ঘেরা জঙ্গলের মধ্য দিয়ে যেতে হবে কয়েক কিলোমিটার পথ। এরপর দেখা মিলবে চিলিং ঝর্নার। এরআগে জঙ্গলের ভেতর দিয়ে হাঁটা পথেও আপনি পাবেন দারুণ রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।
পথে ঝর্নার পানি বয়ে যাওয়া ৫টি খাল ও খালের হাঁটুপানি পাড়ি দিয়ে যেতে হবে। খাল পার হওয়ার সময় স্বচ্ছ পানিতে দেখা মিলবে ছোট ছোট মাছের। এসব খাল পার হওয়ার জন্য রয়েছে নানা আকৃতির পাথর। তবে পাথরে একবার পা ফঁসকে গেলেই বিপদ।
ঝর্না দর্শনে যেতে জঙ্গলের গোটা পথটাই বন্ধুর। কোথাও গাছের বাঁকলের নিচ দিয়ে যেতে হয়, কখনো গাছের শিকড় বেয়ে উপরে উঠতে হয়।
শেষের খালটি পাড়ি দিতে হবে বিশালাকার একটি গাছের গুড়ির উপর দিয়ে। নিচ দিয়ে কলকল করে বয়ে যাচ্ছে ঝর্নার পানি। মাঝে-মধ্যে অবশ্য কিছু বন্যপ্রাণির ডাকও কানে আসবে।
প্রায় এক ঘণ্টা ২০ মিনিটের হাঁটা পথ শেষে মিলবে শীতল ঝর্ণার অপূর্ব দৃশ্য। ঝর্নাটি দুই স্তরে পাহাড়ের উপর থেকে পড়েছে। উচ্চতা প্রায় ৩৫-৪০ মিটারের মতো।
কিভাবে যাবেন?
কুয়ালালামপুর সেন্ট্রাল থেকে পাহাড়ি ঝর্না দেখার জন্য ট্যাক্সি করে আসতে হবে। যেকোনো ট্যাক্সিকে ফ্রেজার হিলের চিলিং ওয়াটার ফল বললেই চিনবে। ভাড়া পড়বে ২০০ রিঙ্গিতের মতো। অথবা গাড়ি ভাড়া করে নিজেও চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে। সেক্ষেত্রে ভাড়া পড়বে দিনপ্রতি ৯০ রিঙ্গিত।
টিকিট
ঝর্না দেখার জন্য টিকিটমূল্য মাত্র এক রিঙ্গিত। নাম নিবন্ধন করে এরপর জঙ্গলে প্রবেশ করতে হবে।
দেরি না করে চাইলেই দেখে আসতে পারেন শীতল পানির ঝর্না ‘চিলিং ফল’। আর গেলে ঝর্নার পানিতে গোসল করতে ভুলবেন না।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৬
এসআর