মালয়েশিয়া: মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অবৈধ শ্রমিকদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) পুরো মালয়েশিয়াজুড়ে এই অভিযানের খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া, পেনাং, মেলাকা, জোহর বারু, আল সেতার, ইপোহ, সেরেম্বান, ক্যামেরন হাইল্যান্ড থেকে অনেক বাংলাদেশি তাদের নিজ নিজ অবস্থানে পুলিশি অভিযানের কথা জানিয়েছেন।
শুধু তাই নয় গতকাল শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাত থেকে বিপুল ধরপাকড়ের ঘটনা এসব স্থান থেকে পাওয়া গেছে।
সরকারের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ বাংলাদেশি প্রবাসীদের। মাত্র কয়েক দিন আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন থেকে পুনর্নিবন্ধনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এর কয়েকদিন পর বাংলাদেশ থেকে ১৫ লাখ শ্রমিক নেওয়ার জন্য ঢাকায় চুক্তি সই করে দুই দেশের প্রতিনিধিরা। চুক্তি সইয়ের মাত্র একদিন পর বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদি।
এদিকে, বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পরদিনই রীতিমতো ঘোষণা দিয়ে শ্রমিক গ্রহণ বন্ধের মালয়েশিয়ার সরকারের সিদ্ধান্ত নানামুখী আলোচনার জন্ম দেয়। বাংলাদেশি শ্রমিকদের সিদ্ধান্তে অস্বচ্ছতার জন্য প্রচুর সমালোচনার মুখে পড়ে দেশটির সরকার। এর মাত্র পাঁচদিনের মাথায় আজ বিপুল ধরপাকড়ের অভিযান শুরু হয়েছে।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা টেলিফোনে বাংলানিউজকে বলেন, গভীর অনিশ্চিয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি আমরা। প্রতিদিন নতুন নতুন খবর বিচলিত করছে। সত্যি খবর যে কোনটা আর কোনটা আমরা বিশ্বাস করবো বুঝতে পারছি না। বাংলাদেশ সরকারের উচিত এ দেশের সরকারের কাছে জবাবদিহি চাওয়া। নইলে এই রকম প্রক্রিয়া চলতেই থাকবে।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে টালবাহানার জন্য কঠোর সমালোচনার মুখোমুখি হন দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মীরা এ ব্যপারে সঠিক সুরাহা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৬
আইএ