কুয়ালালামপুর ঘুরে: কুয়ালালামপুরের গণপরিবহন ব্যবস্থা কার্যত রাজধানী শহরকে কেন্দ্র করে পুরো ক্ল্যাং উপত্যকারজুড়ে ছড়িয়ে আছে। উত্তর-পূর্বে টিটিবাংসা পর্বতশ্রেণী আর পশ্চিমে মালাক্কা প্রণালী হলো এই উপত্যকার সীমারেখা।
মালয়েশিয়ার মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ বাস করে এই ক্ল্যাং উপত্যকায়। যার কেন্দ্র রাজধানী শহর কুয়ালালামপুর। যাকে ঘিরে আছে ফেডারেল টেরিটোরি পুত্রাজায়া এবং সেলানগরের পেটালিং, ক্ল্যাং, গমবাক, হুলু ল্যাংগাত ইত্যাদি নগর।
কাজেই রাজধানী শহর কুয়ালালামপুরকে কেন্দ্র করে এসব শহর-নগরকে সংযুক্ত করেই গড়ে উঠেছে ক্ল্যাং উপত্যকার রাস্তাঘাট। জালের মতো ছড়িয়ে পড়েছে বাস, ট্রেন আর ট্রাক্সির সমন্বিত নেটওয়ার্ক। তবে ক্রসিংবিহীন সংরক্ষিত লাইনে যাতায়াত ও সময় সাশ্রয়ী হওয়ায় ট্রেনই প্রথম পছন্দ যাত্রীদের।
এসব ট্রেনের মধ্যে রয়েছে মানবচালিত মনোরেইল, স্বয়ংক্রিয় লাইট ৠাপিড ট্রানজিট (এলআরটি), ইলেকট্রিক লাইনের কেরাতাপি তানা মেলায়ু(কেটিএম) কমিউটার, কেএলআইএ এক্সপ্রেস ও কেএলআইএ ট্রানজিট এবং নতুন চালু হওয়া এমআরটি।
পরস্পর সংযুক্ত এসব ট্রেনের যে কোনো একটিতে চড়লে প্রয়োজন অনুযায়ী স্টেশনে ট্রেন পালটে সহজেই পৌছে যাওয়া যাবে পছন্দের গন্তব্যে। এজন্য বেশ কিছু স্টেশনে কেবল প্লাটফর্ম পাল্টে ইন্টারচেঞ্জ এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মূল হাব কেএল সেন্ট্রালসহ বেশ কিছু স্টেশনে একই সঙ্গে গড়া হয়েছে এলআরটি, কেটিএম, এক্সপ্রেস ট্রেন ইত্যাদির ট্রানজিট স্টেশন। সঙ্গে আছে বাস আর ট্যাক্সি ট্রানজিটের ব্যবস্থাও।
এসব ট্রেনে বসার জায়গা কম। কয়েক মিনিটে কয়েক মিলোমিটার দূরের গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়া যায় বলে দাঁড়িয়ে যেতেই পছন্দ করেন যাত্রীরা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এসব ট্রেনে ৭ বছরের কম বয়সীদের ভাড়া লাগে না। পিক আওয়ারে এসব ট্রেনে গিজগিজে ভিড় থাকলেও কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা দেখা যায় না। নিয়ম মেনে নির্ধারিত ট্র্যাকেই যাত্রীরা ওঠানামা করেন বলে সময়ও কম লাগে।
এসব ট্রেনের লাইন ও স্টেশনগুলোও অভিনব প্রযুক্তিতে গড়া। কোনো স্টেশন হয়তো গড়া হয়েছে চারতলা সমান মাটির নিচে, কোনটা ফের মাথার ওপরে। আবার কোথাও হয়তো একই স্টেশনে আন্ডারগ্রাউন্ড ও আপারগ্রাউন্ডে পৃথক প্লাটফর্ম। নিচে এক লাইনের ট্রেন চলাচল করলে, ওপরে হয়তো চলাচল করে অন্য লাইনের ট্রেন। এসব ট্রেনে চড়লে তাই একই লাইনে কখনো আন্ডারগ্রাউন্ডের অভিজ্ঞতা, পরক্ষণেই মাথার ওপর দিয়ে স্থাপিত লাইনে ওপর থেকে শহর দেখার অন্যরকম অভিজ্ঞতা হবে।
মনোরেল
মাবব চালক চালিত মনোরেল এর একমাত্র রুট কেএল সেন্ট্রাল থেকে টিটিবাংসা (লাইন-৮)। এই লাইন টিটিবাংসা থেকে পূর্ব দিকে এগিয়ে চো কিটের কাছে মোড় নিয়েছে দক্ষিণে। তারপর মেডান টুংকুর কাছে ফের পূর্বমুখো হয়ে বুকিত নানাসে ঘুরে সোজা দক্ষিণে এগিয়েছে। এরপর মহারাজা লিলার কাছে পশ্চিমমুখো হয়ে কেএল সেন্ট্রালে গিয়ে ঠেকেছে।
মনোরেলের মোট স্টেশন ১১টি। ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত পিক আওয়ারে ৫ মিনিট অন্তর ও অফ পিক আওয়ারে ১০ মিনিট অন্তর এই ট্রেন চলে। এর ভাড়া সর্বনিম্ন ১.২০ থেকে সর্বোচ্চ ২.৫০ রিঙ্গিত (১ রিঙ্গিতে ২০ টাকা) পর্যন্ত। এ লাইনের দৈর্ঘ্য ৮.৬ কিলোমিটার। এ রুটের পাশেই বুকিত বিনতাং, ইমবি ও চো কিট এর মতো বাণিজ্য কেন্দ্র।
কেটিএম
কেরাতাপি তানা মেলায়ু (কেটিএম) রেল হলো মালয় উপদ্বীপের প্রধান ট্রেন অপারেটর। ঔপনিবেশিক আমলে বাষ্পীয় ইঞ্জিনের এই ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ১৯৪৮ সালে ডিজেল ইঞ্জিন চালু হওয়ার পর বাষ্পীয় ইঞ্জিন ধীরে ধীরে কমতে থাকে। ১৯৭২ সালে বাষ্পীয় ইঞ্জিন পুরোপুরি বসিয়ে দেওয়া হয়। এখনো মালয় উপদ্বীপের কিছু আন্তনগর রুটে ডিজেল ইঞ্জিন চালু রয়েছে বটে, কিন্তু ক্ল্যাং উপত্যকায় চলাচলকারী ট্রেনগুলো সব ইলেকট্রিক।
১৯৯৫ সালে ক্ল্যাং উপত্যকায় কেটিএম কমিউটার নামে এই ইলেকট্রিক ট্রেন চালু হয়। বর্তমানে ৪৫ স্টেশনে এই কমিউটার ট্রেন চলছে। ভোর ৫টা ৪৮ থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত পিক আওয়ারে প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর ও অফ পিক আওয়ারে প্রতি ২০ মিনিট অন্তর এই ট্রেন চলে। সব স্টেশনেই টিকিট পাওয়া যায়।
কেটিএম এর রুট দু’টি। এর একটি সেরেমবান লাইন (লাইন-১)। এই রুট উত্তর-পশ্চিমের তানজুং হালিম থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এগিয়ে সেগামবুতের কাছে মোড় নিয়ে দক্ষিণে এগিয়েছে সরল রেখায়। তারপর প্রথমে পূর্ব ও পরে দক্ষিণ-পূর্বে এগিয়েছে নিল্লাল পর্যন্ত। এরপর সোজা দক্ষিণে এগিয়ে গেছে সুনগাই গাবুর পর্যন্ত।
অপরটি পোর্ট ক্ল্যাং লাইন (লাইন-২)। এটি উত্তরের বাতু কেভ থেকে সোজা দক্ষিণে কেএল সেন্ট্রাল পেরিয়ে এসেছে কামপাং দালো হারুন। তারপর পশ্চিমে মোড় নিয়ে সেলানগরের রাজকীয় রাজধানী শাহ আলমের কাছে দক্ষিণ-পশ্চিমমুখো হয়ে বাণিজ্যিক রাজধানী পোর্ট ক্ল্যাংয়ে গিয়ে শেষ হয়েছে। এমআরটিতে মাত্র কয়েক রিঙ্গিতে পছন্দের যে কোনো দূরত্বে যাওয়া যায়। যেমন কেএল সেন্ট্রাল থেকে বাতু কেভ যেতে ভাড়া লাগে মাত্র ২.৬০ রিঙ্গিত।
এলআরটি’র তুলনায় কেটিএম এর পথ দীর্ঘ। তবে এর চলাচল এলআরটি’র চেয়ে কম। বিরতি বেশি। মোট স্টেশন ৪১। ১৩ বছরের বেশি বয়সী স্থানীয় ছাত্ররা ৫০ শতাংশ ছাড়ে এই ট্রেনের কার্ড নিতে পারেন। মাধ্যমিক স্কুল, সরকারি-বেসরকারি উচ্চ শিক্ষা এবং খণ্ডকালীন ও দুরবর্তী ছাত্ররা এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। শিক্ষক প্রশিক্ষণ, নার্সিং, পুলিশ ও আর্মড ফোর্সেস কলেজ এবং হেলথ ইনস্টিটিউট এর শিক্ষার্থীদের কার্ডের জন্য বছরে মাত্র ৩০ রিঙ্গিত দিতে হয়।
এলআরটি
তুলনামূলক কম ভ্রমণ ব্যয় ও কঠোর নিয়মানুবর্তীতার কারণে কুয়ালালামপুরের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাহন হয়ে উঠেছে এলআরটি। নিজস্ব লাইনে চলাচলের কারণে ট্রাফিক জ্যাম কখনো এই বাহনের যাত্রাপথে প্রভাব ফেলে না। ভোর ৬টা থেকে রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত পিক আওয়ারে ৩ থেকে ৫ মিনিট এবং অফ পিক আওয়ারে ৫ থেকে ৮ মিনিট অন্তর অন্তর এই ট্রেন চলে।
এলআরটি’র রুট ৩টি। প্রথমটি আমপাং লাইন (লাইন-৩)। এর দৈর্ঘ্য ১৫ কিলোমিটার। এটি ক্ল্যাং ভ্যালির মধ্যবর্তী সেনটুল তিমুর থেকে শুরু হয়ে সোজা দক্ষিণে এগিয়েছে মসজিদ জামেক পর্যন্ত। তারপর পূর্ব দিকে ঘুরে সোজা এগিয়েছে চান শো লিন পর্যন্ত। সেখান থেকে প্রথমে উত্তর-পূর্ব দিকে মালুরি পর্যন্ত এগিয়েছে। তারপর সোজা উত্তরে এগিয়ে শেষ হয়েছে আমপাং এ।
এলআরটি’র দ্বিতীয়টি শ্রী পেটালিং লাইন (লাইন-৪)। এর দৈর্ঘ্য ২৯ কিলোমিটার। এটি ৩ নম্বর লাইনের মতোই সেন্টুল তিমুর থেকে শুরু হয়ে সোজা দক্ষিণে মসজিদ জামেক হয়ে পূর্ব দিকে চান শো লিন পর্যন্ত এগিয়েছে। তবে এরপর আমপাং লাইনের বিপরীত দিকে আর্থাৎ দক্ষিণে এগিয়েছে। চেরাস থেকে এই লাইন দক্ষিণ-পশ্চিমে বন্দর তাসিক সেলানটান (টিবিএস) ও শ্রী পেটালিং পার হয়ে এগিয়েছে সোজা পশ্চিমে। তারপর সোজা দক্ষিণে কিছু পথ পাড়ি দিয়ে ফের পশ্চিমমুখো হয়ে শেষ হয়েছে পুত্রা হেইটসএ।
পুত্রা হেইটস থেকেই শুরু হয়েছে এলআরটির তৃতীয় লাইনটি (লাইন-৫)। এরপর কিছুটা পশ্চিমে এগিয়ে উত্তরে ঘুরে উঠে গেছে সোজা লামবাহ সুবাং পর্যন্ত। তারপর পূর্ব দিকে এশিয়া জায়ায় গিয়ে উত্তর-পূর্ব মুখো হয়ে কেএল সেন্ট্রাল পেরিয়ে উত্তরমুখো হয়েছে বুকিত নানাসে। তারপর সোজা উত্তরে উঠে গেছে গমবাক পর্যন্ত।
এলআরটিতে ১ থেকে ৬/৭ রিঙ্গিতে (১ রিঙ্গিতে ২০ টাকা)। যে কোনো গন্তব্যে পৌছে যাওয়া যায়। কাছের গন্তব্যে যেতে ১/২ রিঙ্গিতের বেশি লাগে না।
এমআরটি
নতুন চালু হওয়া এমআরটি’র প্রথম লাইনটি (লাইন-৯) উত্তর-পশ্চিমের খাসা দামানসারা থেকে ফেলাও দামানসার পর্যন্ত এগিয়েছে সোজা দক্ষিণ দিকে। তারপর পূর্ব দিকে ঘুরে কেএল সেন্ট্রাল পেরিয়ে উত্তর-পূর্বমুখো হয়েছে। এরপর পূর্ব দিকে মারদেকা স্কয়ার পেরিয়ে ফের উঠে গেছে উত্তরে। বুকিত বিনতানের কাছে ফের পূর্ব দিকে ঘুরে দক্ষিণে মোড় নিয়েছে মালুরির কাছে। তারপর সোজা দক্ষিণে এগিয়ে সুনগাই কানতানের কাছে পশ্চিমে ঘুরে শেষ হয়েছে কাজাং এ গিয়ে।
এমআরটির আর একটি লাইন (লাইন-১০) খাসা দামানসারার ৯ নম্বর লাইনের মাথা থেকে উত্তরে এগিয়ে সুনগাই বুলহ এর কাছে পূর্ব দিকে ঘুরে গেছে। এরপর কামপাং বাতুর কাছে দক্ষিণে ঘুরে ফের পূর্ব দিকে মোড় নিয়েছে টিটিবাংসার কাছে। এরপর আমপাঙ পার্ক পেরিয়ে দক্ষিণমুখো হয়ে তুন রাজাকে একটু মোচড় খেয়ে এগিযে গেছে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে। সুনগাই বেসি’র কাছে ফের মোচড় নিয়ে সোজা দক্ষিণে এগিয়ে শেষ হয়েছে পুত্রাজায়া সেন্ট্রালের কাছে।
কেএলআইএএক্সপ্রেস
কেএলআইএ এক্সপ্রেস (লাইন-৬) ও কেএলআইএ ট্রানজিট (লাইন-৭) কেএল সেন্ট্রাল থেকে কেএলআইএ পর্যন্ত বিস্তৃত। এই দুটি লাইনই কেএল সেন্ট্রাল থেকে শুরু হয়ে প্রথমে পূর্ব বরাবর এগিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ঘুরে এগিয়েছে বন্দর তাসিক সেলানটান পর্যন্ত। তারপর সোজা দক্ষিণে কেএলআইএ পর্যন্ত এগিয়ে গেছে।
সর্পিল অবয়বের এসব ট্রেনলাইনের কারণে ক্ল্যাং ভ্যালির মধ্যবর্তী অঞ্চলে কেএল সেন্ট্রাল ছাড়াও কুয়ালালামপুর, বুকিত নিগারা, পুত্রা, সেন্টুল তিমুর, সেন্টুল, টিটিবাংসা, পিডব্লিউটিসি, সুলতান ইসমাইল, বন্দরায়া, মসজিদ জামেক, প্লাজ রাকায়েত, হাং তুয়া, পুডু চান শো লিন, তুন রাজাক, বুকিত বিনতান, বুকিত নানাস, কেএলসিসি ও পেসার সিনি স্টেশনে তৈরি হয়েছে কানেকটিং ও ইন্টারচেঞ্জ স্টেশন। একইভাবে কানেটিং ও ইন্টারচেঞ্জে স্টেশন তৈরি হয়েছে উত্তর-পশ্চিম দিকে কেপং সেন্ট্রাল ও সুনগাই বুলহতে। উত্তর দিকে কামপাং বাতুতে, পূর্ব দিকে মালুরিতে, দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বন্দর তাসিক সেলানটান, সুনগাই বেসি, কাজাং, পুত্রাজায়া সেন্ট্রাল ও কেএলআইএতে, দক্ষিণ দিকে পুত্রা হেইটসএ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে সুবাং জায়াতে।
ডিসকাউন্ট কার্ড
ৠাপিড কেএল বাস, এলআরটি এবং মনোরেইল আর বিআরটিতে মাই ৠাপিড কার্ড এ ডিসকাউন্টে চলাফেরা করা যায়। ট্যুরিস্টদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে আছে মাইপাস। একটি কার্ড এর দাম ৩৮ রিঙ্গিত। এই কার্ডে প্রধান গণপরিবহনের পাশাপাশি কিছু নির্বাচিত খাবারের দোকান, পর্যটন স্পটে প্রবেশের টিকিটে ছাড় পাওয়া যায়। এই কার্ড কিনলে আপনি একটি হটলিংক সিম প্যাক ও ট্রাভেল গাইড বুকলেট পাবেন। কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট ১ ও ২ এবং কেএল সেন্ট্রালে এই কার্ড পাওয়া যায়।
বাস, এলআরটি, বিআরটি ও মনোরেইলে ভ্রমণের আর একটি সাশ্রয়ী উপায় হলো মাই ৠাপিড কার্ড –কনসেশন কার্ড কিনে ফেলা। ১০০ টাকায় একটি মাই ৠাপিড বাস টিকিট কিনলে আপনি ৩০ দিন যতোবার খুশি যে কোনো বাসে চড়তে পারবেন।
এলআরটি, বিআরটি ও মনোরেইলে ছাড় পাওয়ার আর একটি উপায় মাই ৠাপিড কার্ড-মাই ৠাপিড স্মার্ট কার্ড। এই কার্ড দু ধরনের। একটি এক সপ্তাহের। আর একটি ১ মাসের। ৩০ দিনের কার্ডে ছাড় বেশি। ৠাপিড কেএল কাস্টমার সার্ভিস অফিস ছাড়াও যে কোনো এলআরটি আর মনোরেইল স্টেশনে এই কার্ড পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৬
জেডএম/