ঢাকা: শিকলেবন্দি অবস্থায় ৮ বাংলাদেশিসহ ৯ ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে মালয়েশিয়ার কেদা প্রদেশের পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে এরা সবাই মানব পাচার ও অপহরণের শিকার।
এ নয় ব্যক্তির পায়ে শিকলে বাঁধা ছিল। উদ্ধারের সময় তারা খুবই দুর্বল এবং ক্ষুধার্ত ছিল। খবর মালয়েশিয়ার সংবাদ সংস্থ্যা ’বারনামা’র।
নয় ব্যক্তির মধ্যে আটজনই বাংলাদেশি এবং একজন মায়ানমারের নাগরিক। এদের সবার বয়স ২২ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।
কেদাহ পুলিশ প্রধান দাতুক আশ্রী ইউসুফ মঙ্গলবার স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ২৯ আগস্ট সুংগাই পেতানির একটি নির্মাণ সাইট থেকে ৬ জন বাংলাদেশি শ্রমিক অপহৃত হয়। তার অনুসন্ধানের জন্যেই এ অভিযান পরিচালনা করেন।
নির্যাতনের শিকার সব বাংলাদেশি নাগরিকের পরিবারকেই ফোন দিয়ে ১৫ হাজার রিঙ্গিত (৩ লাখ টাকা) মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অন্যথায় তাদের মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে ওই বাড়িতে অভিযান পরিচালিত হয় এবং ওই ৬ নির্মাণ শ্রমিক উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও উদ্ধার হওয়া বাকি ৩ ব্যক্তি পেরাক এবং কুয়ালালামপুর থেকে অপহৃত হয়েছিলেন।
আশ্রী বলেন, অভিযানে পুলিশ ৪ জন স্থানীয় ব্যক্তি এবং ১ জন মায়ানমার ও ১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে। এদের সবারই বয়স ১৫ থেকে ৩৮ এর মধ্যে।
তিনি আরো জানান, আটককৃতদের মধ্যে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরও রয়েছেন। যার বাবাও পুলিশের চোখে একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তি। অন্য দু’জনের বিরুদ্ধে আগেও অপহরণের অভিযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, যে বাংলাদেশি ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। বাংলাদেশের পরিবারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন তিনি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরো একজন বাংলাদেশি ও এক স্থানীয় নারীকে খুঁজছে পুলিশ।
এই আটকের মধ্য দিয়ে কেদাহ, পেনাং, পেরাক এবং কুয়ালালামপুরের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটকে অকেজো করা সম্ভব হবে বলে মনে করে পুলিশ। অপহরণ অ্যাক্ট ১৯৬১ এর ৩ (১) ধারা, এন্টি ট্রাফিকিং ইন পার্সন অ্যাক্ট অ্যান্ড এন্টি স্মাগলিং অব মাইগ্রেন্ট অ্যাক্ট ২০০৭ এর ১৩ ধারায় মামলার তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৬
এমএন/এসএইচ