নির্ধারিত সময় বিকেল ৫টায় টিবিএস (টার্মিনাল বার্সিপাদু সেলাতান অর্থাৎ দক্ষিণাঞ্চলের বাস টার্মিনাল) ছাড়লো ক্রসওয়ে লিংক কোম্পানির বাসটি। ওভারব্রিজ দিয়ে মূল সড়কে নামতেই চোখের সামনে আকাশে ধরা দিলো নীলাভ ক্যানভাস।
স্পিডোমিটারে ঘণ্টায় গড়ে ৮৫ কিলোমিটার বেগে চলছে আমাদের গাড়ি। ‘ওভারটেকিং নয়, নিজের পথে থাকুন’; গতি অনুযায়ী লেন মেনে প্রতিটি গাড়ি আপন গতিতে ছুটে চলেছে।
প্রায় দেড় ঘণ্টা পর মালাক্কায় যাত্রাবিরতির আগে রাস্তার দু’পাশে চোখে পড়লো সারি সারি পাম গাছ। পুরো রাস্তাজুড়ে সবুজের সমারোহ। রাস্তার পাশে চোখে পড়লো না বাংলাদেশের মতো এতো বিজ্ঞাপনের সাইনবোর্ড। তবে রয়েছে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা।
২০ মিনিট পর যখন ফের যাত্রা শুরু তখন স্পিডোমিটারে গাড়ির গতি দেখাচ্ছিলো ঘণ্টায় ৯৫ কিলোমিটার। অবশ্য গাড়ির লেন পরিবর্তন দেখেও তা টের পাওয়া গেলো। দ্বিতল বাসটি এতক্ষণ দ্বিতীয় লেন দিয়ে চললেও হঠাৎই তা দখল করে নিলো প্রথম লেন, এ পর্যায়ে গড়ির গতি উঠলো ১১৩ কিলোমিটার। এভাবে গতি ওঠানামায় জোহর বারু পৌঁছাতে ঘড়ির কাঁটায় বাজলো রাত ৯টা।
তবে পুরো পথে অবাক করার বিষয়, পেছন থেকে কোনো গাড়ি আগে যেতে চাইলে তাকে হর্ন চাপতে শোনা গেলো না। গাড়ির গতিই তাকে লেন নির্ধারণ করে দিচ্ছে, সে এগিয়ে যাবে নাকি পেছনে থাকবে।
জনি সাহা, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৭
জেডএস/এমজেএফ