শহর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে ‘ডাঙ্গা বে’র সীমানায় প্রবেশ মাত্রই চোখে পড়লো লবস্টার, শামুক, ঝিনুক, কচ্ছপ, জেলিফিসসহ বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণীর দল। দূর থেকে মনে হবে যেনো ব্যস্ত সড়ক পার হতে তারা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে! তবে এর মাধ্যমেই অনুমেয় জোহর বারু’র সবচেয়ে বড় ‘বিনোদন পার্ক’ সত্যিই যে কারো মন ভরিয়ে দেবে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে আধুনিকতার সংমিশ্রণে গড়ে ওঠা ডাঙ্গা থিম পার্কে ছোট বড় সবার জন্য রয়েছে বিনোদনের সব আয়োজন। প্রেমিক যুগলদের জন্যও যে এটি বেশ সুবিধাজনক স্থান চীনা দুই তরুণ তরুণীকে দেখে তা বুঝতে বেশি সময় লাগলো না।
বিচ ভিউর পাশাপাশি রয়েছে সি ফিশ রেস্টুরেন্ট, রিভার সিটি, রিভার ক্রুজ - যা মুহূর্তেই মন ভরিয়ে তুলবে। আর মাঝখানে বয়ে চলা জহুর নদীর ওপারে সিঙ্গাপুরের হাতছানি বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক দেশটিতে নিয়ে যেতে চাইবে। বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছাড়াও আধুনিক প্রযুক্তির সুউচ্চ ভবনের জন্য দেশটির সুনাম বিশ্বজুড়ে।
চীনা বেসরকারি কোম্পানির তত্ত্বাবধানে ডাঙ্গা বিচকে বেশ সযত্নে সাজানো হয়েছে। ঘাস বিছিয়ে বিচকে করা হয়েছে আরো প্রাণবন্ত। কৃত্রিম আলোকসজ্জা বাড়িয়েছে আকর্ষণ। বিচের পাড়ে সন্ধ্যার সূর্য ডোবা যেনো দৃশ্যপটে আঁকা ছবি। আর বিচ ঘিরে চারপাশে গড়ে ওঠা সুউচ্চ ও বিভিন্ন ডিজাইনের আধুনিক ভবন পার্কের জন্য করেছে ‘সুরক্ষার দেয়াল’।
পার্ক থেকে বেরিয়ে কিছুদূর পরই রয়েছে সি ফিশ জোন, যেখানে মোটামুটি কম দামেই মিলবে লবস্টারসহ বিভিন্ন ধরনের সামু্দ্রিক মাছ। একটু পরই রয়েছে ডাঙ্গা পার্ক, যা ছোট বড় নিমিষেই সবার মন ভরিয়ে দেবে। আর সুনসান রাস্তা পেরিয়ে ওপাশে দাঁড়িয়ে থাকা ডাঙ্গা সিটি মলে মিলবে প্রয়োজনীয় সব পণ্যই।
জোহর বারু যেতে কুয়ালালামপুরের টিবিএস (টার্মিনাল বারসেবাদু স্লাদাং অর্থাৎ দক্ষিণাঞ্চলের বাস টার্মিনাল) টার্মিনাল থেকে রয়েছে অসংখ্য কোম্পানির বাস। জনপ্রতি ৩৪ রিঙ্গিত ভাড়ায় পৌঁছানো যাবে দক্ষিণের এ শহরে। এরপর যেকোনো রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে পৌঁছানো যাবে রিক্রিয়েশন পার্ক ‘ডাঙ্গা বে’-তে। আর থাকার জন্য পুরো শহরে রয়েছে অসংখ্য বাজেট হোটেল।
জনি সাহা, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর
** হর্ন-হীন ৩২৯ কিলোমিটার!
বাংলাদেশ সময়: ০৪২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৭
জেডএস