পাহাড়ারের চূড়ায় সাদা রঙ এ নির্মিত স্থাপনা দেখে চোখ ধরে যায়। জোহর প্রণালীর উত্তরের পাহাড়ে এই প্রাচীন স্থাপত্যটি যে মসজিদ হবে তা মিনার দেখেই অনুমান করা যাচ্ছিলো।
জোহর প্রদেশের সুলতান আল মাহরুম আবু বকরের নামে এই মসজিদটি নির্মাণ করেন তার পুত্র সুলতান ইব্রাহিম। মসজিদটি এমন একটি জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে যে মালয়েশিয়া থেকে আযান দিলে সিঙ্গাপুরের মুসলিমদের ঘুম ভাঙবে। কেননা দুই দেশের মাঝখানে একটি মাত্র প্রণালী। জানা গেছে মাত্র ১ কিলোমিটার পথ পেরুলেই সিঙ্গাপুর শহরে প্রবেশ করা যায়। প্রতিদিন অসংখ্য গাড়ি দুই দেশের মধ্যে আসা-যাওয়া করছে।
সুন্নি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা জোহর প্রদেশে ১৮৯২ সালের ২৬ জুলাই সুলতান আবু বকর মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। এরপর ১৮৯৩ সালে মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মসজিদটি নির্মাণ করতে সময় লাগে ৮ বছর। এই মসজিদ নির্মাণে ৪ লাখ রিঙ্গিত ব্যয় করা হয়। এরপর ১৯০০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার মসজিদে প্রথম জুমার নামাজ আদায় করার মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়।
পাহারের চূড়ায় নির্মিত চার গম্বুজের মসজিদটির ভেতরে রয়েছে নানা কারুকাজ। মসজিদের ছাঁদ নীল আকাশের মত। গম্বুজের মাথায় হাল্কা আকাশি রং এর পাথর দিয়ে নির্মিত। যদিও মূল মসজিদে সংস্কার কাজ চলায় ভেতরটা দেখার সুযোগ হয়নি। তবে মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের বর্ণনায় জানা গেছে জোহর বারুর প্রাচীন স্থাপত্য গুলোর মধ্যে এই মসজিদটি অন্যতম। সাদা পাথরে নির্মিত মসজিদটি সূর্যের আলোতে চিকচিক করে। এখানে জুম্মার দিন কয়েক হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করেন।
এখানে একসঙ্গে ৩ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের বাইরে বিশাল বিশ্রামাগার রয়েছে। যেখানে রাতের বেলায় অনেকেই ঘুমাতে পারেন। মূল গেট দিয়ে ঢুকেই রয়েছে ওযুখানা। মূল মসজিদের বাইরে একটি বর্ধিতাংশ জায়গা রয়েছে সেখানেই বর্তমানে নামাজ আদায় করা হয়।
মসজিদের উত্তর দিকে চলে গেছে মনাস ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস আর দক্ষিণে রয়েছে জোহর চিড়িয়াখানা। মসদিদের দুই পাশ দিয়ে বের হওয়ার পথ রয়েছে।
শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৭
এসএম/বিএস