তাই আবার বিদেশ চলে যান। তবে এবার আর কাতার নয়, যান মালয়েশিয়া।
১৯৯৯ সাল পর্যন্ত ফ্যাক্টরিতে কাজ করার পর কুয়ালালামপুরের বুচাইলামাতে একটি কারওয়াশের দোকান দেন। সেখানে ৬ মাস ব্যবসা করার পর চলে যান মালয়েশিয়ার সর্ব দক্ষিণের প্রদেশ জোহর বাহরুতে। সেখানে জালান (রোড) আব্দুল্লাহ তাহেরে কারওয়াশের দোকান দেন।
মাসে ৬০০ রিঙ্গিত দোকান ভাড়া ও শ্রমিকের বেতন দিয়েও তার মাসে আয় দাঁড়ায় ৭০০০ হাজার রিঙ্গিত। তার আগে আরও কিছু বাঙালি জোহর বাহরুতে কারওয়াশের দোকান দিয়ে সফল হন। সেই একটি কারওয়াশের দোকান থেকে এখন জোহর বাহরুতে ৪ টা কারওয়াশ, দুইটা ক্যানটিন একটি রেস্টুরেন্ট। বাঙালি হিসেবে গর্বিত এসএম আহম্মেদ। সে প্রবাসীদের স্বপ্ন দেখিয়েছেন সততা আর কর্মঠ হলে বিদেশেও অনেক কিছু করা যায়।
প্রথম জীবনে শ্রমিক এসএম আহম্মেদ এখন তার নিজপ্রতিষ্ঠানে ৬৮ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা বাবার সন্তান হিসেবে স্বপ্ন দেখেন নিজ দেশ কবে মালয়েশিয়ার পর্যায়ে পৌছাবে। তার হাত ধরে অনেক প্রবাসী বাঙালি মালয়েশিয়াতে সফল ব্যবসায়ী হয়েছেন।
জোহর বাহরুতে কারওয়াশের দোকান অনেক সম্ভাবনাময় সেক্টরে পরিণত হয়েছে। কাজের মান অন্য দেশের তুলনায় ভালো হওয়ায় দ্রুত বাঙালি কারওয়াশের দোকান প্রসার ঘটছে।
এসএম আহম্মেদ ৩৬ বছর অর্থাৎ তিন যুগ ধরে প্রবাসী। তাই প্রবাসীদের দুঃখ কষ্ট বুঝতে পেরে বাংলাদেশ কমিউনিটি অব জোহুর, মালয়েশিয়া (বিসিজেএম) নামের সংগঠনে সম্পৃক্ত হন। বর্তমানে বিসিজেএম’র সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জোহুর বাহরু, মালয়েশিয়ার সহ-সভাপতি।
কুমিল্লার মুরাদ নগরের সন্তান এখন মালয়েশিয়ায় সফল ব্যবসায়ী ও সংগঠক। তার দুই ছেলে এক মেয়ে। বড় ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ’র ছাত্র। আর এক ছেলে এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ৫০তম স্থান অধিকার করেন। সবার ছোট মেয়েটাও এইচএসসি পরীক্ষার্থী। মালয়েশিয়ায় রয়েছে নিজের ফ্লাট ও নিজস্ব গাড়ি। বর্তমানে ৫০ বছর বয়সী এসএম আহম্মেদের একটাই স্বপ্ন মেয়েকে ডাক্তার বানাবেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে এখনো সংগ্রাম করে যাচ্ছেন তিনি।
শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
**মিনি মার্কেটেও বাঙালিদের বড় সম্ভাবনা
**চোখ আটকে যায় ১২৫ বছরের আবু বকর মসজিদে
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭
এসএম/ওএইচ