১৯৯৫ সালে মো. ফাহিম নামে যে ব্যক্তির হাতে জোহর বারুতে এ ব্যবসার পথ চলা, বতর্মানে তারই রয়েছে ১১টি কারওয়াশের দোকান। সে গল্প পরে।
জোহর বারুর কেএসএল সিটি সেন্টার এলাকা ঘুরে যে কয়টি কারওয়াশের দোকান চোখে পড়লো তার ১০টির মধ্যে ৮টিরই মালিক বাংলাদেশি। বাকিগুলোর মালিক চীনা হলেও শ্রম দিচ্ছেন বাংলাদেশিরাই।
চীনা মালিকানাধীন পারফেক্ট কারওয়াশে কথা হয় মো. জামাল হোসেনের সঙ্গে। তিন বছর হলো মালয়েশিয়ায় এসেছেন। বৈধভাবেই এদেশে অবস্থান করছেন জানিয়ে বলেন, ভালোই আছি, মাসে ওভারটাইমসহ ৩ হাজার রিঙ্গিত (১ রিঙ্গিত ২০ টাকা) বেতন পান। থাকা, খাওয়া কোম্পানির। মালিক খুবই আন্তরিক।
তবে দিনে ১৬ ঘণ্টা পরিশ্রম করতে হয়, ছুটি না থাকায় আক্ষেপ ঝরে জামাল, নাইম, আলমগীরদের গলায়। আর বৈধ না হওয়ায় তিন বছরে দুইবার জেলে যেতে হয়েছে শামীম নামে এক বাংলাদেশি শ্রমিককে। কারাগারের অভিজ্ঞতা যে ভীতিকর তা ফুটে উঠলো মুখাবয়বে।
বাংলাদেশি মালিকানাধীন অপর এক কারওয়াশ দোকানের কমর্চারী সাভারের আবুল হোসেন বলেন, পরিশ্রম হলেও ভালোই আছি। তবে এজেন্টের কারণে বৈধ হতে না পারায় কপালে চিন্তার ভাঁজ ফুটে উঠলো দেশের অথর্নীতির ভিত শক্তে দিনরাত পরিশ্রম করা আবুল হোসেনের কপালে।
জোহর বারুতে ৪টি কারওয়াশের দোকান মালিক বাঙালি ব্যবসায়ী এস এম আহমেদ বলেন, এখানে কারওয়াশের ৮০ শতাংশ ব্যবসাই বাংলাদেশিদের হাতে। বাংলাদেশিরা এ ব্যবসায় ভালো করছে। তবে আরো সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
কারওয়াশ ব্যবসায় আগের মতো লাভ নেই বলে মন্তব্য করেন জোহর বারুতে এ ব্যবসার পথিকৃৎ দাবি করা ফাহিম। শুরুর দিকে একটি গাড়ি ওয়াশ করতে যেখানে নেওয়া হতো ১৮শ' রিঙ্গিত, এখন তা দুইশ' রিঙ্গিতে নেমেছে। সব মিলিয়ে তারপরও ভালোই যাচ্ছে প্রবাসে সফল এসব বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর।
জনি সাহা, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর
মালাক্কায় টায়ার ব্যবসায় কোটিপতি রাজবাড়ীর সাইফুল
বাংলাদেশ সময়ঃ ১৩০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৭
জেডএস/জেডএম