একসময় ক্যামেরুন হাইল্যান্ডে চীনাদের দখলে থাকা কৃষিকাজ এখন বাংলাদেশিদের দখলে। কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশিরা তাদের দক্ষতায় একের পর এক দেখিয়ে চলেছে তাদের সাফল্য।
এমনই তিনটি সবজি শিম, লালশাক ও পুঁইশাক। মাটি ও আবহাওয়া গুণে একেবারে বাংলাদেশের মতো না হলেও মালয়েশিয়ার সবজিতে যুক্ত হয়েছে নতুন তিন পদ।
এসব তথ্য জানা যায় মালয়েশিয়ায় সফল বাংলাদেশি সবজি চাষি আব্দুল হালিম, আব্দুল গফুর, মো. সেলিমের কাছ থেকে।
তারা বলেন, প্রথমে ক্যামেরুন হাইল্যান্ডে শিম, লালশাক ও পুঁইশাক চাষে সফলতা দেখে মালাক্কা, জোহর বারুসহ বিভিন্ন অঞ্চলে এখন চাষ হচ্ছে। চাহিদাও বাড়ছে। প্রথমে শুধু বাঙালিদের মধ্যে এর জনপ্রিয়তা থাকলেও এখন চীনা, মালয়ীরাও পছন্দ করে। এজন্য চাষ বাড়ছে।
তারা বলেন, শিম এখানে হলেও মাটির কারণে একটু শক্ত হয়, কিন্তু ওজনে বেশি পাওয়া যায়। খেতে তাই বলে খারাপ লাগে না। এখানকার লোক সবজি পছন্দ করে বলে জনপ্রিয়তা পেতে সময় লাগেনি।
কেমন দাম পাওয়া যায় জানতে চাইলে মালাক্কার গফুর বলেন, এই মুহূর্তে আমার ক্ষেতে তিনটির কোনোটি নেই। বোনা হয়েছে। কিছু লালশাক থাকতে পারে। দাম এখন লালশাক পাইকারি ২ রিঙ্গিত, খুচরা ৩ রিঙ্গিত, পুঁইও প্রায় একই দাম। শিমের দামটা বেশি ৬-৭ রিঙ্গিত (১ রিঙ্গিত=২০ টাকা)।
বাংলাদেশ থেকে আনা বীজ সব সময় ভালো ফলন দেয় না কিংবা বীজ ফোটে না বলে জানান তিনি। এ ক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশিদের অসততাকে দায়ী করেন। বলেন, ভালো বীজ বলে দিলেও মোটেই ফোটেনি এমনও হয়েছে।
যারা নতুন করে বীজ আনতে চান তাদের দেখেশুনে আনার পরামর্শ দেন গফুর।
মালক্কার পাইকারি বাজার ও কুয়ালালামপুরের খুচরা বাজারে গিয়ে লালশাক না পেলেও পুঁইশাক আর লম্বা জাতের শিম মিললো। দাম ৫ থেকে ৭ টাকার মধ্যে।
সবচেয়ে বড় কথা ভিন্ন একটি দেশের শাক-সবজিতে নতুন তিন প্রজাতি যোগ করার পরিকল্পনা এবং তাতে সফলতা। এসব সফলতাই প্রবাসে বাংলাদেশিদের এগিয়ে যাওয়ার শক্তি। প্রবাসে ব্যবসা-বাণিজ্য করে প্রতিষ্ঠিত হলে দেশ পায় রেমিটেন্স। নিজেরা সুনাম ধরে রেখে এমন সাফল্য ধরে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ মনে করেন সফল চাষিরা।
আসিফ আজিজ, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর
** মালয়েশিয়ার যতো বাহারি ফল
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭
এএ