এতে করে চাওয়া-পাওয়ার মধ্যে ব্যবধান বাড়ছে দিনদিন। একদিকে যেমন প্রবাসীরা সন্তুষ্ট হতে পারছেন না তেমনি গরদঘর্ম হতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।
দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রবাসী অধ্যুষিত মালয়েশিয়া প্রবাসীর সংখ্যা এগারো লাখ মতান্তরে ২৫ লাখ রয়েছে। তবে সংখ্যাধিক্য পক্ষ মনে করেন এই সংখ্যা ১৬ লাখ হবে।
প্রত্যেক প্রবাসীকে ৫ বছর পর পর পাসপোর্ট নবায়ন করার জন্য হাই কমিশনের দ্বারস্থ হতে হয়। এর বাইরে রয়েছে জন্মসনদ, বৈবাহিক সনদ, পাসপোর্ট হারানো কিংবা নষ্ট হওয়ার ঘটনা।
আর একদিন পাসপোর্টের আবেদন জমা ও একদিন তুলতে আসতে হয়। সে হিসেবে ১৬ লাখ প্রবাসী ৫ বছরে ৩২ লাখ বার হাই কমিশন ভিজিট করেন শুধু পাসপোর্ট নবায়নের জন্য।
এ হিসেবে বছরে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ লোকের সমাগম ঘটে হাই কমিশনে। অন্যদিকে ৩৬৫ দিনের মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটি (শনি ও রোববার) ১০২ দিন, বাংলাদেশের সরকারি ছুটি ২২দিন এবং মালয়েশিয়ার সরকারি ছুটি ২৫ থেকে ৩৫দিন বাদ দিলে কর্মদিবস থাকে মাত্র ২'শ দিন।
অর্থাৎ ২০০ কর্মদিবসে শুধু পাসপোর্ট নবায়ন করতেই লোক সমাগম হয় সাড়ে ৬ লাখ।
যোগ বিয়োগ করলে দৈনিক সংখ্যা দাঁড়ায় ৩২শ। ঠিক সেই সময়ে হাই কমিশনের সক্ষমতা মাত্র ৮'শ লোককে সেবা দেওয়ার। আর তিন-চতুর্থাংশ সেবা প্রার্থী থাকছেন আওতার বাইরে। এ কারণে হাইকমিশন ও প্রবাসী উভয়েই সংকটে রয়েছে।
এর ফলে তৈরি হচ্ছে অশুভ প্রতিযোগিতা। দুরাশা থেকে অনেকেই প্রলুব্ধ হচ্ছেন দালালের দারস্থ হতে। তাদের কাছে আরেকদিন সময় নষ্ট করার চেয়ে কিছু বাড়তি খরচ করাটা অনেক সহজ। কারণ এর সঙ্গে ছুটি এবং অফিসে বসের মনমর্জি জড়িত।
সেই সুযোগে হাইকমিশন কেন্দ্রিক গড়ে উঠেছে একটি চক্র। যারা দ্রুত কাজ করে দেওয়ার কথা বলে টুপাইস হাতিয়ে নিচ্ছেন। যার প্রভাব পড়ছে হাইকমিশন এবং খোদ সরকারের উপর।
প্রবাসী এবং সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এর থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হচ্ছে জনবল বৃদ্ধি করা। বিকল্প হতে পারে পাসপোর্টের মেয়াদ বৃদ্ধি।
সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
**ধুলাও যেখানে কঠোর শাসন মানে!
বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৭
এসআই/বিএস