পেট্রোনাস টুইন টাওয়ারস দেশের বিভিন্ন এলাকা গড়ে ওঠা নতুন নতুন ভবন এ পদ্ধতিতেই গড়ে ওঠেছে। ফলে শব্দ দূষণ, ধুলাবালি ছড়িয়ে পড়াসহ পরিবেশে কোনো ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ পদ্ধতিতে নতুন ভবনসহ নানা স্থাপনা নির্মাণ করায় পরিবেশের যেমন কোনো ক্ষতি হচ্ছে না, তেমনি প্রভাব পড়ছে না পর্যটনেও। এ পদ্ধতিতে ১০০ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করতে সময় লাগছে মাত্র দুইবছর।
মালয়েশিয়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আধুনিক মালয়েশিয়া গড়তে দেশটিতে যে কর্মযজ্ঞ চলছে-তার অন্যতম হাতিয়ার আইবিএস। এতে খুব অল্প সময়েই একটি শহর গড়ে উঠছে। হয়ে যাচ্ছে উন্নত বিশ্বের সমতুল্য।
জানা গেছে, বাংলাদেশও অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ করে ভবন নির্মাণে আইবিএস চালু করতে যাচ্ছে। প্রথমে আইবিএস পদ্ধতিতে ঝিলমিল প্রকল্প নির্মাণ শুরু করা হবে।
এ প্রকল্পে ৮৫টি সুউচ্চ ভবন নির্মাণ করা হবে। যার মধ্যে ৬০টি বিশতলা ও ২৫টি পঁচিশতলা। এতে মোট অ্যাপার্টমেন্ট হবে ১৩ হাজার ৯২০টি। ১৬০ একর জায়গার উপর ২০১৮ সালের জানুয়ারি এ প্রকল্প শুরু হবে। যা শেষ হবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে।
বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্ন ‘সকলের জন্য আবাসন’ এর ব্যবস্থা করা। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলছেন, ঝিলমিল প্রকল্প এ পদ্ধতিতে নির্মাণ হলে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নেও একধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যেই মালয়েশীয় কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তি করা হয়েছে।
তবে জানা গেছে, আইবিএস পদ্ধতি শুধু মালয়েশিয়াতেই নয়, সিঙ্গাপুরেও বেশ প্রচলিত। যা এশিয়ার অন্যান্য দেশেও নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হয়।
আইবিএস’র সুবিধা প্রসঙ্গে জানা যায়, এ পদ্ধতিতে ভবন নির্মাণের সময় একটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ তৈরি করা হয়। এতে নির্মাণ সামগ্রী যত্রতত্র ফেলে রাখার কোনো ঘটনা ঘটে না। ক্ষতিগ্রস্ত হয় না পরিবেশ।
একটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়। নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতেও সময় কম লাগে।
এ পদ্ধতিতে কাঠামো বা সাঁচের মাধ্যমে ভবন নির্মাণ করা হয়। এতে শুধু ভবনের মেঝ-ই নয়, ঢালাই দিয়ে দেয়ালও তৈরি করা যায়। এতে গাথুঁনি যেমন শক্ত হয় তেমনি সৌন্দর্যও বাড়ে। তাই দিনদিন এর জনপ্রিয়তাও বাড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯,২০১৭
কেজেড/এমএ