মালয়েশিয়ার বার্তা সংস্থা বারনামা জানিয়েছে, মানবপাচারে এখন রুট হিসেবে কুয়ালালামপুর ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টকেই (কেএলআইএ ও কেএলআইএ২) ব্যবহার করা হচ্ছে। রয়েল মালয়েশিয়া পুলিশ এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন বাংলাদেশিকে চিহ্নিত করেছে।
কুয়ালালামপুর এয়ারপোর্টের ৬শ’ অফিসার বদলি
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়ায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের ডেপুটি ইনসপেক্টর জেনারেল তান শ্রী নূর রশীদ ইব্রাহিম বলেন, আটকৃতদের দেয়া তথ্যানুযায়ী, এই সিন্ডিকেটগুলোর বেশ কয়েকজন সদস্য বাংলাদেশ এবং কুয়ালালামপুরে যৌথভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, পুলিশ গত এক বছর ধরেই কুয়ালালামপুর এয়ারপোর্ট দিয়ে বাংলাদেশিদের পাচার হওয়ার ওপর সমীক্ষা চালিয়েছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, তিনটি সিন্ডিকেট যে কোনো অবৈধ প্রক্রিয়ায় তাদের লোক মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করানোর চেষ্টা চালায়। প্রয়োজনে ঘুষও দেয়।
তিনি বলেন, কুয়ালালামপুর এয়ারপোর্টে রয়েল পুলিশ মালয়েশিয়া এখন বিদেশিদের প্রবেশের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে।
ভবিষ্যতে আরো সিন্ডিকেটের গোড়া ধরা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মাথা পিছু তিন থেকে চার লাখ টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে এই সিন্ডিকেট বাংলাদেশিদের পাচার করছে বলে জানায় সংবাদ মাধ্যম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৭
জেডএম/