জালান বুকিত বিনতাং কুয়ালামপুরের প্রধান সড়কগুলোর একটি। এই সড়ক ঘিরে পর্যটকদের জন্য গড়ে উঠেছে অসংখ্য দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য, নামকরা সব ব্র্যান্ডশপ, রেস্টুরেন্ট, বার।
আর বাংলাদেশিদের জন্যও রয়েছে বেশ কিছু বাংলা খাবারের দোকান।
জালান বুকিত বিনতাং রোড়ের পাশেই রয়েছে জালার আলোর। এ সড়কের পুরোটা জুড়েই বসে স্ট্রিট ফুডের দোকান। এখানে মালয়েশিয়ার ঐতিহ্যগত খাবারের পাশাপাশি থাই, চাইনিজসহ সব রকম খাবারই পাওয়া যায়। দামেও অনেকটা সস্তা। রয়েছে বেশ কিছু ফলের দোকানও।
কেনাকাটা, খাবার-দাবার আর বিনোদনের সহজলভ্যতার কারণে পর্যটকরা ছুটে আসেন এখানে। কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর থেকে ট্যাক্সি ক্যাবে করে আসতে খরচ পড়বে ১০০ থেকে ১২০ রিঙ্গিত। চাইলে যে কেউ গুগল ম্যাপ ধরে সহজেই এখানে চলে আসতে পারবেন।
জালান আলোর এ খাবারের দোকানগুলো প্রতিদিন বিকেল থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত খোলা থাকে। সবচেয়ে বেশি জমজমাট থাকে সাপ্তাহিক ছুটির আগের রাতে (শনিবার)। আর এখন পর্যটন মৌসুম হওয়ায় ভিড়টা প্রতিদিনই বেশ জম্পেশ থাকে।
দিনের চেয়ে রাতের বুকিত বিনতাং অনেক বেশি মনকাড়া, আলো ঝলমলে। সন্ধ্যার পর থেকেই মূলত জমতে শুরু করে। সন্ধ্যা থেকে সড়কের মোড়ে মোড়ে বসে লাইভ মিউজিক্যাল শো। গায়ক এবং বাদকদের ঘিরে জমে ওঠে আসর। জনপ্রিয় মালয়ি গানগুলোর সঙ্গে চলে নাচ আর হরেক শারীরিক কসরত। গানের ফাঁকে ফাঁকে বিশেষ বাক্সে করে তোলা হয় টাকা। তবে কাউকে টাকা দিতে বাধ্য করা হয় না।
আর বুকিত বিনতাংকে ঘিরে এর আশপাশের সড়কগুলোতে বসা খাবারের দোকানগুলোও বেশ জমজমাট হয়ে ওঠে সন্ধ্যায়।
বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে জমে ওঠে পর্যটকদের সবচেয়ে পছন্দের এই বুকিত বিনতাং। বিশেষ করে নববর্ষ, বড়দিনে জায়গাটা সবচেয়ে বেশি আলো ঝলমলে থাকে। এছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতেও বসে মিলনমেলা। বিশেষ করে বাংলাদেশিদের মিলনমেলা বসে ছুটির দিনের সন্ধ্যায়।
তবে এখানকার মতো আজকাল বাংলাদেশেও বেশ কিছু এলাকায় খাবারের দোকানগুলো বেশ জমজমাট হয়েছে। বিশেষ করে ধানমণ্ডি, মিরপুর, তিনশ ফিট, খিলগাঁও এসবের মধ্যে অন্যতম। তবে পর্যটক বা আমোদপ্রিয় মানুষদের আকৃষ্ট করার মতো সব রকম সুযোগ সুবিধা এখনো গড়ে ওঠেনি ঢাকায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৮
এসএইচ /জেএম