রাজনৈতিক জীবনে দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর মন্ত্রিভার সদস্যদের নিয়ে বুধবার (২৩ মে) প্রথম সাপ্তাহিক বৈঠক করেন মাহাথির। এরপর সংবাদ সম্মেলন করেন ৯২ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী।
এতে ড. মাহাথির বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। দেখছি শীর্ষ যে, পর্যায়ের আমলাদের তুলনায় মন্ত্রীদের বেতন কম। তবু আমরা মন্ত্রীদের বেতন আরও কমাবো।
সম্প্রতি নির্বাচনে নিজেরই রাজনৈতিক শিষ্য নাজিব রাজাককে হারিয়ে সরকার গঠন করেন আধুনিক মালয়েশিয়ার জনক মাহাথির। কিন্তু সরকারে আসার পর থেকেই নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে তাকে। বিশেষত মাহাথিরের নেতৃত্বে গঠিত সরকারকে পড়তে হয়েছে নাজিব সরকারের রেখে যাওয়া এক ট্রিলিয়ন মালয়েশিয়ান রিংগিতের (এক লাখ কোটি রিংগিত) ঋণের সংকটে।
এই ঋণ কমানোর লক্ষ্যে সরকারের নানা কর্মসূচির অংশ হিসেবেই মন্ত্রীদের বেতন ছাঁটা হচ্ছে জানিয়ে মাহাথির বলেন, আমি আগে যখন ১৯৮১ সালে প্রধানমন্ত্রী হয়েছি, তখনও মন্ত্রী ও আমলাদের বেতন কমিয়েছি। এবারও তা করতে যাচ্ছি। কারণ আমাদের ঋণের অংক প্রায় এক ট্রিলিয়ন রিংগিত। আমরা এই ঋণ কমানোর উপায় খুঁজছি, কমিয়ে ফেলতে চাই।
আমলাদের বেতন কমানো হবে কি-না জানতে চাইলে মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, দেশকে ঋণের বোঝা থেকে রক্ষায় নিজেরা কোনও অবদান রাখবেন কি-না, সেটা তাদের ব্যাপার, আমরা কোনও সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবো না।
১৯৮১ সাল থেকে টানা ২২ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ২০০৩ সালে অবসরে যান মাহাথির। এই লম্বা সময়ে তিনি মালয়েশিয়াকে পরিণত করেন ‘এশিয়ার ইউরোপে’। কিন্তু তার শিষ্য নাজিব রাজাক ক্ষমতাগ্রহণের পর রাষ্ট্র পরিচালনায় একের পর এক ‘কেলেঙ্কারি’ ও রাজনৈতিক গুরুর পরামর্শকে ‘উপেক্ষা’ করতে থাকলে মাহাথির ফের রাজনীতিতে নামেন। তারই সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীমের দলের সঙ্গে মিলে করেন নির্বাচনও। এ নির্বাচনে জিতে একেবারে নব্বইয়ের কোঠার রাজনীতিক মাহাথির সরকারপ্রধানের গদি সামলাচ্ছেন নতুন করে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৮
এইচএ/