ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভোটের-কথা

সিলেট-৬ আসনে নাহিদের প্রতিদ্বন্দ্বী কে?

নাসির উদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮
সিলেট-৬ আসনে নাহিদের প্রতিদ্বন্দ্বী কে? ...

সিলেট: প্রবাসী অধ্যুষিত গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার নিয়ে গঠিত সিলেট-৬ আসন। সারি সারি ‘লন্ডনি বাড়ি’, চোখ জুড়ানো অট্টালিকায় ঢাকার গুলশানের সঙ্গে তুলনা করা হয়। সিলেটের ৬টি আসনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা চারবার বিজয়ী হন।

১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগ প্রার্থী গোলাপগঞ্জের বাসিন্দা মরহুম আবদুর রহিম অ্যাডভোকেট। ১৯৭৯ সালে ২য় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মরহুম লুৎফর রহমান এ আসনে বিজয়ী হন।

সেই থেকে প্রায় দেড় যুগ আসনটি বিএনপি, জাপা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর দখলে।
 
১৯৯৬ সালে ৭ম সংসদ নির্বাচনে নুরুল ইসলাম নাহিদের বিজয় লাভের মধ্য দিয়ে আসনটি ফিরে পায় আ’ লীগ। এরপর নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেও আবার ২০০১ সালে হাতছাড়া হয় আ’লীগের।
 
২০০৮ সালে ৯ম সংসদ নির্বাচনে চারদলীয় জোট প্রার্থী জামায়াত নেতা মাওলানা হাবিবুর রহমানকে হারিয়ে আসনটি পুনরুদ্ধার করেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। এবারও এ আসনে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী প্রার্থী নাহিদ।  

তবে মনোনয়ন যুদ্ধে তিনি ছাড়াও রয়েছেন- কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সরওয়ার হোসেন, দলের যুক্তরাজ্য শাখার যুগ্ম সম্পাদক আফছার খান সাদেক, যুক্তরাষ্ট্র শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন আহমদ হাসিব, যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি শাখার সাধারণ সম্পাদক শফিক আহমদ।  
 
অন্যদিকে, ২০০৮ সালের নির্বাচনে জোটের শরিক জামায়াতকে আসনটি ছেড়ে দিলেও এবার ছাড় দিতে রাজি নয় বিএনপি। এজন্য অন্তত অর্ধডজন নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী ধানের শীষে। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন- দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ইনাম আহমদ চৌধুরী, জাসাস কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক হেলাল খান, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, প্রবাসী বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন মাস্টার।  
 
এছাড়া বিএনপি থেকে পদত্যাগী সাবেক সংসদ সদস্য ড. মকবুল হোসেন লেচু মিয়াও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন জামায়াতের জেলা দক্ষিণের আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান। জাতীয় পার্টি থেকে সিলেট-৫ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিনও এ আসনে পার্টির মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করতে চান। জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য এটিইউ তাজ রহমানও এ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
 
এছাড়া জাসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও সিলেট জেলা সভাপতি লোকমান আহমদ, খেলাফত মজলিসের একাংশের আমির প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবীবুর রহমান প্রচারণা চালাচ্ছেন। শিল্পপতি জাহাঙ্গীর হোসেন মিলু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন।
 
মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সরওয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ২০০৮ সাল থেকে এলাকার মানুষের সুখ-দুঃখের সঙ্গী হয়ে আছি। মন্ত্রী-এমপি না হওয়া সত্ত্বেও এলাকার মানুষ আমাকে মূল্যায়ন করে ঋণী করে রেখেছেন। শেষ জীবনটা তাদের পাশেই থাকতে চাই।
 
সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মাওলানা রশীদ আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৪ সালে তেমন প্রার্থী ছিলেন না। এবার মনে হচ্ছে এ আসনে মৌ ধরেছে। প্রার্থীর অভাব নেই। যারা মনোনয়ন চাইছেন, তারা এলাকায় আমার চেয়ে বেশি জনপ্রিয় নয়। দলও সিদ্ধান্ত পাল্টিয়ে অন্য কাউকে মনোনয়ন দেবে না।
   
জামায়াতের সিলেট জেলা দক্ষিণের আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ২০ দলীয় জোটে আমার মোকাবেলা করার মতো কোনো শক্তিশালী প্রার্থী আছেন বলে আমি মনে করি না। জোটের পক্ষ থেকে মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি।
 
নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে, এ আসনে ৩ লাখ ৭১  হাজার ৯০৩ ভোটারের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৮৩ হাজার ৮৫৬ জন এবং নারী এক লাখ ৮৮ হাজার ৪৭ জন।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
এনইউ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ভোটের-কথা এর সর্বশেষ