টাঙ্গাইল: যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত স্বামী ও শ্বশুরকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
দুই বছর পলাতক থাকার পর তাদের সোমবার (৫ ডিসেম্বর) ভোরে নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক করা হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওই দুই আসামি হচ্ছেন- মো. মজনু (৬১) ও তার ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩১)। তাদের বাড়ি ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা গ্রামে।
র্যাব ১৪ এর ৩ নম্বর কোম্পানির অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, ২০১৬ সালের ২৩ নভেম্বর জহুরুল ইসলাম তার স্ত্রী তাসলিমা আক্তারকে যমুনা নদীতে চুবিয়ে হত্যা করেন। পরে তার লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেন। হত্যা ও লাশ গুম করায় তাকে সহায়তা করেন তার বাবা। ঘটনার পর তাসলিমার বাবা বাদী হয়ে ভূঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মজনু ও জহুরুলকে গ্রেফতার করে। তারা দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তারা যৌতুক না দেওয়ায় তাসলিমাকে হত্যা করে লাশ গুম করার কথা স্বীকার করেছিলেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট তাদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। মামলা চলাকালে জামিনপ্রাপ্ত হয়ে তারা পলাতক হন।
র্যাব জানায়, আটকরা জানিয়েছেন, সাজা এড়াতে তারা নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার গোয়ালদি খান বাজার এলাকায় গরুর খামারে চাকরি নেন। সেখানেই তারা পরিচয় গোপন করে থাকতেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে র্যাব সোমবার ভোরে তাদের সেখান থেকে আটক করে। তাদের দুজনের নামে ভূঞাপুর থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। বিকেলে তাদের ভূঞাপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২২
আরএ