ঢাকা: ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে১০ ডিসেম্বর। বিএনপির গত কয়েক মাস ধরে রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, কুমিল্লাসহ বিভাগীয় সমাবেশের দুদিন আগে থেকেই বন্ধ করা হয়েছিল যানবাহন চলাচল।
এখন জনমনে প্রশ্ন উঠেছে রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশের আগেও কি বন্ধ হবে রাজধানীর যানবাহন চলাচল একইসঙ্গে রাজধানীর সঙ্গেও কি সারাদেশের যান চলাচল বন্ধ হবে?
সুনির্দিষ্ট কিছু না বললেও যানবাহন মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে জানিয়েছেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা থাকলে বন্ধ হতে পারে যানবাহন চলাচল।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী শাহরিয়ার হোসেন বলেন, আমরা যারা নিয়মিত অফিস করি, হঠাৎ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে বিপদে পড়ে যাব। এছাড়া খেলা হবে স্লোগান দিয়ে জনমনে যেভাবে আতঙ্ক ছড়ানো হয়েছে সেটা নিয়ে সাধারণ মানুষ হিসেবে আশঙ্কায় আছি।
ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে বাস বন্ধের বিষয়ে এখনও কোনো নির্দেশনা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি কিংবা মালিকপক্ষও নেয়নি।
তিনি বলেন, বাস মালিকেরা ক্ষতির আশঙ্কায় পড়লে বাস বন্ধ হতে পারে। সেক্ষেত্রে আমাদের কিছু বলার নেই। তবে এখন পর্যন্ত সেই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।
ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ খান বলেন, আমি দেশের বাইরে আছি। এজন্য এ সম্পর্কে কিছু বলতে পারছি না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের (দক্ষিণ) যুগ্ম কমিশনার এসএম মেহেদী হাসান বলেন, ১০ ডিসেম্বর আসার অনেক সময় আছে। অন্যান্য দিন যেভাবে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হয় সেদিনও একইভাবে করা হবে।
বাস বন্ধ করা হলে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সে সম্পর্কে জানতে চাইলেও উত্তর দেননি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক বলেন, রাজধানীতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হলে সারাদেশ অচল হতে পারে। যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া সঠিক হবে না। সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নিজেও বলেছেন যানবাহন চলাচল যেন বন্ধ না হয়।
মালিক সমিতির সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে এ ধরনের যেন সিদ্ধান্ত যেন না নেয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২২
এনবি/এসআইএস