ফরিদপুর: গ্রামে কোনো জমিজমা নেই বলে স্ত্রী ও দুই কন্যাকে নিয়ে ফরিদপুর পৌরসভায় এক বাড়িতে ভাড়া থাকেন পাবনার লুৎফর রহমান (৩৮)।
অভাবের সংসার টিকিয়ে রাখতে ফরিদপুরে শিশুদের অতি প্রিয় খাবার হাওয়াই মিঠাই বেচেন তিনি।
ফরিদুপুরের স্কুল, কলেজের সড়কে, অলিগলিতে দেখা যায় লুৎফরের হাওয়াই মিঠাইয়ের সাইকেল। বাঙালি অত্যন্ত পরিচিত মুখরোচক এ খাবারের সঙ্গে লুৎফরও ফরিদপুরে পরিচিত।
শহরের আলীপুর এলাকার বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম বলেন, শিশুদের অতি প্রিয় এ মিঠাই এখন ফরিদপুর শহরে নিয়মিত বিক্রি করছেন লুৎফর। যেখানেই প্রাথমিক, মাধ্যমিকসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাজার এলাকা, গ্রামে গ্রামে বা কোন মেলা উৎসব, সভা হয় সেখানেই চমকপ্রদ হাওয়াই মিঠাই বানিয়ে হাজির হন তিনি। হাওয়াই মিঠাই বানিয়ে শিশু, কিশোরদের মন জয় করার চেষ্টায় তিনি অবিরাম পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। সঙ্গে জীবিকাও নির্বাহ করছেন।
এ ব্যাপারে কথা হয় হাওয়াই মিঠাই বিক্রেতা লুৎফর রহমানের সঙ্গে।
তিনি জানান, ফরিদপুরে হাওয়াই মিঠাইয়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আগে গ্রামাঞ্চলে বিক্রি ভালো হলেও ইদানিং শহরের বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। বর্তমানে তিনি জেলা প্রশাসন স্কুল, সানরাইজ স্কুল রেইনবো স্কুল, শিল্পকলা একাডেমির সামনে নিয়মিত বিক্রি করছেন। মুখে দেওয়া মাত্রই এই খাবারটি গলে যায়। যে কারণে অনেকের কাছে এই খাবারটি আশ্চর্যজনক।
লুৎফর রহমান বলেন, শিশুরা তার হাওয়াই মিঠাইয়ের প্রধান ক্রেতা। পাশাপাশি অনেক বিভিন্ন বয়সি লোকজন এই খাবারটি পছন্দ করেন। আমার কাছে দুরকমের হাওয়াই মিঠাই আছে। একটি সাদা অপরটি গোলাপী । এরমধ্যে সাদা রংয়ের হাওয়াই মিঠাইয়ের চাহিদা বেশি থাকলেও গোলাপি রঙের মিঠাইও বেশ বিক্রি হচ্ছে।
তার আক্ষেপ, হাওয়াই মিঠাই কতদিন ধরে শুরু হয়েছে এবং বাংলাদেশে কবে আসলো এর কোন সঠিক ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারেনি।
সহজ শর্তে লোন পেলে এ ব্যবসাকে আরও বড় করতেন বলে জানালেন লুৎফর। তিনি বলেন, রাস্তার পাশে ছোট একটা জায়গা যদি কেউ দিত তকে ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতাম। একইসঙ্গে ব্যবসারও প্রসার ঘটাতে পারতাম।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২২
এসএএইচ